নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : অসম-মেঘালয় সীমান্ত সমস্যা এবং তাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের জটিলতার স্থায়ী সমস্যার সমাধানের দাবিতে মঙ্গলবার সংসদের বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে বিজয় চকে বিক্ষোভ মিছিল করল তৃণমূল কংগ্রেস। বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন দলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদরা। তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের সিলমোহর পড়ল রাজ্যের রিপোর্টে, কালাজ্বর মুক্ত জেলা মালদহ
যদিও তা মোকাবিলা করেই এগিয়ে যান সাংসদরা। হাতে পোস্টার নিয়ে মেঘালয়ের ৬ জন নেতাও যোগ দেন এই বিক্ষোভ মিছিলে। তাঁদের দাবি, গারো এবং খাসি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বর্তমানে অষ্টম তফসিলে রয়েছে ২২টি ভাষা। জানা গিয়েছে, বুধবারও সংসদে বিষয়টি তোলা হবে। মঙ্গলবার মেঘালয় ইস্যুতে রাজ্যসভা এবং লোকসভা থেকে যথাক্রমে ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়টি আলোচনার জন্য তোলার কথা থাকলেও, বারবার সংসদের দুই কক্ষ অচলাবস্থা চলায় তা সম্ভব হয়নি। বুধবারও মেঘালয়ের ইস্যুতে ধরনা প্রদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-‘এক টাকার ডাক্তার’ পদ্মশ্রী সুশোভন প্রয়াত
মঙ্গলবার সকালে বিজয় চকে বিক্ষোভ মিছিল করার পর বিকেলে তিনটে নাগাদ দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্তমানে তৃণমূল নেতা মুকুল সাংমা, জর্জ লিঙডো, জেলেন সাঙ্গমা, কাঞ্চি শিরা সহ আরও অনেকে। সেখানেও তাঁরা বলেন, গারো এবং খাসি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে হবে, যাতে সবার ভাল হয়। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড ট্রিটমেন্ট’ দেওয়া হচ্ছে। উত্তর-পূর্বের মাত্র তিনটি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মুকুল সাংমা বলেন, আমরা ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছি, যাতে সেখানকার মানুষের ভাবাবেগকে গুরুত্ব দিয়ে অসম-মেঘালয় সীমানা চুক্তি বাতিল করা হয়।