সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলার সবজি, ফল ও ফুল এবার যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে। উলুবেড়িয়া চেম্বার অফ কমার্সের উদ্যোগে ওই এলাকায় উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি, ফল ও ফুল পৌঁছে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। উলুবেড়িয়া, শ্যামপুর, বাগনান, আমতা, উদয়নারায়ণপুর এলাকা থেকে বিভিন্ন সবজি যেমন পটল, শসা, ঝিঙে, ওল, টমাটো, বিনস, গাজর, পেঁপে। এছাড়াও বিভিন্ন ফুল ও ফল পৌঁছে যাচ্ছে দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত, আরব আমিরশাহির মতো একাধিক দেশে। এর ফলে হাওড়া জেলার গ্রামীণ এলাকার চাষিরা
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই টেন্ডার, বেলুড়ে লজিস্টিক হাব
অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক সমৃদ্ধ হচ্ছেন। এই ব্যাপারে তাঁদের পুরোপুরি সহযোগিতা করছেন উলবেড়িয়া বণিকসভার সদস্যরা। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে উলুবেড়িয়া বণিকসভার সদস্যরা কাশফুলের বালিশ, তোষক, লেপ প্রভৃতি তৈরি করে শিল্পমহলে নজর কেড়েছেন। সেইসঙ্গে উলুবেড়িয়ার যদুরবেড়িয়ায় শাটল কক তৈরির ক্লাস্টারও তৈরি করেছেন তাঁরা। এবার তাঁদের উদ্যোগে ওই এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত সবজি, ফুল ও ফল মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাঠাতে শুরু করেছেন তাঁরা। উলুবেড়িয়া চেম্বার অফ কমার্সের তরফে প্রবীর রায় জানান, ‘‘আমরা কৃষকদের উৎপাদিত সবজি ঝাড়াই-বাছাই করার পর প্রথমে প্রসেসিং করে নিচ্ছি। তারপর তা প্যাকেটজাত করার জন্য পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন প্যাকেজিং ইউনিটে। সেখানে বিভিন্ন ওজনের প্যাকেটজাত করার পর তা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে পাঠানোর জন্য সরাসরি বিমানবন্দরে পাঠানো হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন-কৃষ্ণ কল্যাণীর ব্যবসায়িক ঠিকানায় ইডির নোটিশ, বিজেপির প্রতিহিংসা
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে বাংলার সবজির কদর খুব বেশি হওয়ায় দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে। এর জন্য উলুবেড়িয়াতে প্রশাসনের তরফে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্যাকেজিং ইউনিট তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে। সেখানে থাকবে একটি হিমঘরও। এখন বিভিন্ন প্যাকেজিং ইউনিটে পাঠিয়ে এই সমস্ত সবজি প্যাকেটজাত করা হয়। ওই ইউনিটের হিমঘরেই সবজি মজুত রাখা হয়। উলুবেড়িয়ায় প্যাকেজিং ইউনিট তৈরি হলে আরও দ্রুত ও বেশি সংখ্যক সবজি রফতানি করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।