আমাদের, যারা কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত, জীবনে বড় অভিশাপ ঋণ। চাষের জন্য বীজ বা সার কিনতে ঋণ নিতে হয়। ফেরত দিতে হয় সুদসমেত। আগে প্রতি বছর ঋণ নিয়ে বীজধান কিনে রোপণ করতাম। ফসল উঠলে বিক্রি করে সুদ-সহ পরিশোধ করতাম। এতে বিরাট অংশ চলে যেত সুদ মেটাতে। ফসল কম হলে মাথায় হাত পড়ত। কী খাব, ঋণের টাকা মেটাব কী করে। এই দুশ্চিন্তায় অনেক কৃষক আত্মঘাতী হতেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কৃষকবন্ধু’ কৃষকদের প্রাণ বাঁচিয়ে দিল। সবচেয়ে বড় কথা, এই কৃষকবন্ধুর টাকা পেতে কোনও দালাল ধরতে হয় না। ঠিক সময়ে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যায়। বীজ রোপণের আগে পাঁচ হাজার টাকা পেয়ে যাই। তা দিয়ে বীজ কিনি ও ঠিক সময়ে ধান রোপণ করি। এখন আর ঋণ নিতে হয় না। মুখ্যমন্ত্রীকে অন্তর থেকে প্রণাম জানাই।