প্রতিবেদন : ২০২০ সালে মরুরাজ্যে অশোক গেহলটের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার ফেলতে তাঁকে ৬০ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজস্থানের সেনা কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী রাজেন্দ্র গুধা। তবে এখানেই শেষ নয়। সদ্য হয়ে যাওয়া রাজ্যসভার ভোটেও একজন বিশেষ ব্যক্তিকে ভোট দেওয়ার জন্য তাঁকে ২৫ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যদিও ওই বিশেষ ব্যক্তি কিংবা কারা তাঁকে ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাদের নাম প্রকাশ করেননি রাজেন্দ্র গুধা। তবে রাজনৈতিক মহলের অনুমান, দু’বছর আগে গেহলটের সরকার ফেলতে সক্রিয় হয়েছিল বিজেপি। পাশাপাশি রাজ্যসভার ভোটেও অতিরিক্ত এক প্রার্থীকে জেতাতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছিল গেরুয়া দল। তাই মন্ত্রী ভয়ে বা আতঙ্কে যে কোনও কারণে কারও নাম না করলেও তাঁকে ঘুষ দেওয়ার এই প্রস্তাব এসেছিল বিজেপির তরফেই।
আরও পড়ুন-ভাষা অন্তর্ভুক্তির দাবি তুললেন সুদীপ
২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির হয়ে ভোটে জিতলেও ২০১৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন গুধা। ২০২০ সালে গেহলটের বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলটের বিদ্রোহের সময় মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকায় পরে মন্ত্রিসভায় ঠাঁইও পান তিনি। সোমবার ঝুনঝুনুতে একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়েই এই বিস্ফোরক দাবি করেন গুধা। তিনি বলেন, ‘‘রাজনীতি এখন কার্যত ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছেন সাংসদ-বিধায়কদের একাংশ।” ২০২০ সালে যখন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হয়েছিল, তাতে শামিল হওয়ার জন্য তাঁকে ৬০ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ঘৃণাভরে তিনি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮, মৃত ১
সম্প্রতি রাজ্যসভার ভোটের সময়েও একজন বিশেষ ব্যক্তিকে ভোট দেওয়ার জন্য তাঁকে ২৫ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। দুই ক্ষেত্রেই তিনি স্ত্রী, পুত্র-কন্যার মতামত জানতে চেয়েছিলেন। স্ত্রী তাঁকে বলেন, ওই অর্থের দরকার নেই। তার চেয়ে সম্মান অনেক বড়। সম্মান একবার চলে গেলে বাঁচার অর্থ থাকবে না। মন্ত্রীর দাবি, এই কথাগুলি বলে তিনি পড়ুয়াদের বোঝাতে চেয়েছেন, অসৎ পথে চললে অর্থাগম হয় ঠিকই, কিন্তু তাতে সম্মান থাকে না।