প্রতিবেদন : আলোকোজ্জ্বল রাজভবনের থ্রোন রুম। একে একে ঢুকছেন নতুন মন্ত্রীরা। শপথ অনুষ্ঠানের সামনের চেয়ারে পরপর নয়জন মন্ত্রী। হাতে মন্ত্রিত্বের শপথবাক্যের কাগজ। শেষ মুহূর্তে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। মন্ত্রিসভার এই সম্প্রসারণে গোটা রাজ্য টিভির পর্দায়। যাঁরা মন্ত্রী হয়েছেন তাঁদের বিধানসভা এলাকায় ততক্ষণে শুরু হয়ে গিয়েছে মিষ্টি মুখ, আবির খেলা। এদিনের মন্ত্রিসভায় শপথ (9 ministers including Babul Supriyo take oath) অনুষ্ঠান ঘিরে ছিল উৎসাহ এবং উদ্দীপনা। বিভিন্ন উপদূতাবাসে পদাধিকারীরা আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত ছিলেন এই শপথ অনুষ্ঠানে। নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁরা পরিচয়ও করেন। শপথ শেষে ক্যাবিনেটের অন্য মন্ত্রীরা এসে নতুন মন্ত্রীদের স্বাগত জানান। শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছিল। তবে নিয়ন্ত্রিত। শপথ নেওয়ার পর প্রত্যেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রণাম করেন। তাঁর আশীর্বাদ চান। শপথ অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন বাবুল সুপ্রিয় ও স্নেহাশিস চক্রবর্তী। প্রত্যেকেই তাঁদের (9 ministers including Babul Supriyo take oath) শুভেচ্ছা জানিয়ে যান। অনেকেই করমর্দনও করেন। শপথ অনুষ্ঠানের মধ্যেই অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন ক্যাবিনেটের এক সঙ্গে ছয় মহিলা মন্ত্রীর ছবি। বীরবাহা হাঁসদা যেন এই মহিলা ব্রিগেডের নিউক্লিয়াস। তাঁকে ঘিরে অন্য মহিলা মন্ত্রীরা। বীরবাহার সঙ্গে ছবি তুললেন ডাঃ শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শিউলি সাহা, সন্ধ্যারানি টুডু ও সাবিনা ইয়াসমিন। রাজ্যপাল লা গণেশন শপথবাক্য পাঠ করার পর অতিথিদের চা-চক্রে আপ্যায়ন করেন। ক্যাবিনেটে অন্তর্ভুক্ত নয়জন নতুন মন্ত্রী এদিন বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা। তাঁর উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে বাংলায়। মন্ত্রী হিসেবে প্রত্যেকেই বলেছেন, বাংলাকে বিশ্ববাংলায় পরিণত করাই হবে আমাদের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তাজমুল হোসেন