সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : রাজ্যে এই প্রথম সরকারি ব্যবস্থাপনায় অরণ্য-পর্যটনে যোগ হল গাইড সহায়তার ব্যবস্থা। অযোধ্যা পাহাড় থেকে গড়পঞ্চকোট বা বান্দোয়ান, জয়চণ্ডী পাহাড় সর্বত্র মিলবে সহায়তা। গাইডরা শুধু পথ দেখিয়ে ঘোরাবেন না, বলবেন এলাকার ইতিহাস, মিথ, আর্থসামাজিক পরিকাঠামোর কথা। স্থানীয় শিল্প, সংস্কৃতির সঙ্গেও মানুষকে পরিচিত করাবেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার এমন ৩১ গাইডের হাতে শংসাপত্র তুলে দিল জেলা প্রশাসন। এঁরা সকলেই জেলা প্রশাসন ও বাঘমুন্ডি ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে গাইড প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন-৩ আগস্ট থেকে ৩ আগস্ট, পাল্টে গেল বাবুল সুপ্রিয়র রাজনৈতিক জীবনের ভবিষ্যৎ
এদিন বাঘমুন্ডি ব্লকে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, জেলা পরিষদের শিক্ষা ও ক্রীড়া কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডু, জেলাশাসক রজত নন্দা, বাঘমুন্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো প্রমুখ। গুরুপদ টুডু বলেন, গাইড সহায়তা ব্যবস্থায় দুটি বিষয় লক্ষ্য রাখা হয়েছে। বেশ কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করে মানুষকে আরও বেশি করে পুরুলিয়ার পর্যটনের প্রতি আকৃষ্ট করাই এর লক্ষ্য।
আরও পড়ুন-মাঙ্কিপক্স রুখতে সতর্ক নবান্ন, জারি নির্দেশিকা
আগামী দিনে আরও অনেক গাইডকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু বলেন, ‘পুরুলিয়াকে তিনটি পর্যটন সার্কিটে ভাগ করে পর্যটনের বিকাশ ঘটানো হয়েছে। সার্কিটগুলির মধ্যে সমন্বয়ও রয়েছে, যাতে পর্যটকদের সুবিধা হয়।’ বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো বলেন, ‘আগামী দিনে অযোধ্যা পাহাড় দেশের অন্যতম পর্যটন ক্ষেত্র হবে।’,;