প্রতিবেদন : দল ‘জাগোবাংলা’-র সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ায় সম্মানিত বোধ করছি। সোমবার জাগোবাংলার-র দফতরে এসে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় এমনই জানালেন নতুন সম্পাদক সুখেন্দুশেখর রায়। ক’দিন আগেই তাঁকে দলীয় মুখপাত্র ‘জাগোবাংলা’-র সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছিল দল। সোমবার দুপুরে দফতরে এসে আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্পাদকের দায়িত্বভার নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এদিন ‘জাগোবাংলা’ দফতরে এসে দলীয় মুখপত্রের কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হন নতুন সম্পাদক। ঘুরে দেখলেন গোটা দফতর।
আরও পড়ুন-দিঘাগামী বাস উল্টে জখম ৪০ যাত্রী
তার ফাঁকে সারলেন সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক। আগামিদিনে ‘জাগোবাংলা’ কীভাবে কোন পথে চলবে তা নিয়েও হল বিস্তারিত আলোচনা। দিলেন প্রয়োজনীয় উপদেশ ও পরামর্শ। শেষে দফতরের কনফারেন্স হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হলেন জাগোবাংলার সম্পাদক। সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই তিনি বলেন, দল এই দায়িত্ব দেওয়ায় আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়ায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শীর্ষনেতৃত্বের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন-সরকার নয়, মালিকরা চান ভাড়া-বৃদ্ধি
তিনি আরও বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস জনগণের দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণের নেত্রী। সেটা মাথায় রেখেই আগামিদিনে ‘জাগোবাংলা’ জনগণের কথাই তুলে ধরবে। দলের কথা, দলের বক্তব্য থাকবে, সঙ্গে নিরপেক্ষ ভাবে মানুষের কথাই বলবে ‘জাগোবাংলা’। নতুন সম্পাদক বলেন, দৈনিক হিসেবে মাত্র এক বছরের মধ্যেই গোটা রাজ্যে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ‘জাগোবাংলা’। রাজ্যজুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে উন্নয়নযজ্ঞ চালাচ্ছে তা নিয়মিত ‘জাগোবাংলা’-র পাতায় উঠে আসবে। আরও বেশি করে থাকবে সাধারণ মানুষের মতামতও। দেশে এই মুহূর্তে সংবাদমাধ্যমকে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা চলছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে জাগোবাংলা-র টিম নিরপেক্ষ ভাবে মানুষের কথাই বলবে। এর পাশাপাশি জাগোবাংলার-র পাতায় হারিয়ে যাওয়া কার্টুনকে ফিরিয়ে আনা যায় কি না সে নিয়েও ভাবনাচিন্তা করা হবে বলেও জানান সম্পাদক। এদিন একই সঙ্গে দেশ ও রাজ্যের আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়েও সাংবাদিক বৈঠকে মুখ খোলেন সুখেন্দুশেখর রায়।