মুম্বই, ১৮ অগাস্ট : ২২ গজে তাঁর প্রত্যাবর্তন ম্যাচটাই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ২৮ অগাস্ট বাবর আজমদের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়েই এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করবে ভারত। তার আগে জোরকদমে প্রস্তুতি সারছেন বিরাট কোহলি। ইংল্যান্ড সফরের পর থেকেই বিশ্রামে ছিলেন। তবে ছুটি কাটিয়ে দেশে ফিরেই অনুশীলনে নেমে পড়েছেন বিরাট। মু্ম্বইয়ের বান্দ্রা কুরলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের নেটে রোজ ঘণ্টা তিনেক করে সময় কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি জিমে ঘাম ঝরাচ্ছেন ঘড়ি ধরে পাক্কা দু’টি ঘণ্টা। ফর্মে ফেরার জন্য তিনি যে কতটা মরিয়া, সেটা বিরাটের শরীরী ভাষাতেই স্পষ্ট।
আরও পড়ুন-হাওড়া-কলকাতা মেট্রো এ-বছর নয়
২০০৮ সালের ১৮ অগাস্ট শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ডাম্বুলাতে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল কিং কোহলির। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন বিরাট। তাতে তাঁর ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের নানা মুহূর্তের ছবির কোলাজ রয়েছে। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘’১৪ বছর আগে আজকের দিনে যাত্রা শুরু হয়েছিল। এটা আমার কাছে গর্বের বিষয়।’’
একই সঙ্গে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেকে ফিট রাখতে ডায়েট কন্ট্রোল করেন, তা নিয়েও মুখ খুলেছেন বিরাট। তিনি বলেন, ‘‘আধুনিক স্পোর্টসে ফিট থাকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডায়েটের দিকে বাড়তি নজর রাখতেই হয়। আমি ছোলে-বাটুরে খেতে খুব ভালবাসি। লোভ সামলাতে না পেরে কখনও কখনও খেয়েও ফেলি। কিন্তু ডায়েটে ফাঁকি দিই না। ভাজাভুজি খেলে সেই অনুযায়ী জিমে বাড়তি সময় কাটাই। যাতে শরীরে মেদ না জমে।’’
আরও পড়ুন-প্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদিক সোমা মুখোপাধ্যায়, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
বিরাট আরও জানিয়েছেন, শারীরিক সক্ষমতার পাশাপাশি মানসিকভাবে তরতাজা থাকাটাও খুব জরুরি। বিশেষ করে, নিজের সঙ্গে সময় কাটানো। এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি একই ঘরে নিজের প্রিয়জনদের মধ্যে বসেও একাকিত্ব অনুভব করেছি। প্রত্যেকেরই নিজেকে আলাদাভাবে সময় দেওয়া উচিত। কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখাও খুব জরুরি। এটা ঠিকঠাক করতে পারলে কাজের মধ্যে বাড়তি আনন্দ খুঁজে পাওয়া যাবে।’’