সংবাদদাতা, খেজুরি: গত বিধানসভা নির্বাচনে খেজুরি কেন্দ্রে বিজেপি জয়লাভ করলেও খেজুরি ১ ব্লকের হেঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামে আশানুরূপ ফল হয়নি। তাই সেই সমস্ত গ্রামে বিজেপির দুষ্কৃতীরা রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতে গত কয়েকদিন ধরে প্রবল সন্ত্রাস শুরু করেছে বলে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ।
খেজুরি-১ ব্লকের হেঁড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের মোহাটি, বেনিপুর, দেবীচক গ্রামগুলিকে টার্গেট করে গত তিন-চার দিন ধরে ব্যাপক সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের প্রায় ২০টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। অপহরণ, খুনের হুমকি, মারধর, ঘর লুঠপাট– নানাভাবে অত্যাচার করছে বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই সব ভেঙে-যাওয়া বাড়ির তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা নিম্নচাপের ভারী বর্ষণে প্রবল অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। খবর পেয়ে সোমবার সেই সন্ত্রাস-অধ্যুষিত এলাকায় যান কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ও বিধায়ক তরুণকুমার মাইতি, পাশের বিধানসভা পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক, খেজুরি বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের কোঅর্ডিনেটর পার্থপ্রতিম দাস, খেজুরি ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিমান নায়ক প্রমুখ। আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি নির্যাতিত কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। ভেঙে যাওয়া বাড়িকে রক্ষা করার জন্য এদিন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা বেশ কয়েকটি পরিবারের হাতে ত্রিপল তুলে দেন। এছাড়াও চাল, ডাল, নানা সবজি ও বাড়ি মেরামতের জন্য দু হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যও দেওয়া হয়। জেলা নেতৃত্বদের এদিন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা জানান, বিজেপি-আশ্রিত গুন্ডারা তাঁদের উপর অত্যাচারের পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি দুষ্কৃতীরা থানায় বেশ কয়েকটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। এরপর তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তরুণকুমার মাইতি ও বিধায়ক উত্তম বারিক খেজুরি থানা ও হেঁড়িয়া পুলিশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেন।
আরও পড়ুন : বিধানসভার গরিমা নষ্ট করছেন রাজ্যপাল, ধনকড়কে কড়া প্রতিক্রিয়া অধ্যক্ষের
পুলিশকে তাঁরা জানান, বিজেপি আশ্রিত গুন্ডাদের দ্বারা আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের নাম কানাইলাল ভূঁইঞা, রেণুকা দাস, কমলকৃষ্ণ জানা, সুশান্ত বেরা, প্রশান্ত বেরা, ভাগ্যধর বেরা, টুম্পা জানা, ধনঞ্জয় মাইতি, শঙ্কর মাইতি, জলধর দাস, কালিপদ দাস, বিভূতি প্রধান প্রমুখ। এই সমস্ত আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশকে নিতে হবে।