সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : দোকানের ছোট্ট সিংহাসনের গণেশই সর্বজনীনের মোড়কে এখন ভীমাকৃতি। পুজো আসছে, এই ফেস্টিভ মুডটাই আম-আদমিকে গণপতি কালচারে মোটিভেট করে তুলেছে। সোস্যাল মিডিয়ায় সিদ্ধিদাতার হরেক ডিজাইনের ছবি, কোথাও নিখুঁত অ্যানিমেশনে থ্রি-ডি প্রেজেন্টেশন, এসবই বাংলার সংস্কৃতিতে নব সংযোজন।
আরও পড়ুন-নজরে পঞ্চায়েত ভোট, নয়া মহিলা কমিটি তৃণমূলের
দুর্গাপুর ও আসানসোলের অলিগলিতে এখন দুর্গাপুজোর মতোই গণেশপুজোতেও সর্বজনীনের ছোঁয়া। মঙ্গলবার থেকেই ভিড় উপচে পড়েছে পুজো মণ্ডপগুলোতে। উৎসবের আনন্দ-ভেলায় চড়ে প্যান্ডেল হপিংয়ের ফাঁকেই কোথাও কোথাও অনেক রাত পর্যন্ত চলল চুটিয়ে আড্ডা। কলেজপড়ুয়া থেকে মধ্যবয়সিরাও আইসক্রিমের বাটি চাটতে চাটতে প্রাকপুজোর প্ল্যানিং সেরে ফেললেন। অনেককেই দেখা গেল শ্রীবিনায়কের সঙ্গে হাসি মুখে সেলফি তুলতে ব্যস্ত। ইস্পাতনগরীর বন্ধ হয়ে যাওয়া চিত্রালয় সিনেমা হলে মাধুরীর সঞ্জীবন। নিয়নের জাদুস্পর্শে গোটা এলাকা যেন আলোর মালা পরা মায়াপুরী।
আরও পড়ুন-বামেদের মিথ্যা প্রতিশ্রতি বক্রেশ্বরে মানুষের ক্ষোভ
গণপতি আরাধনায় এ বছর সপ্তম বর্ষ রেড রোজ ইয়ং বেঙ্গল ক্লাবের। ক্লাব সদস্যরা জানান, এ বছর পুজোর বাজেট অনেকটাই বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। কারণ ক্লাবের মহিলা সদস্যারা এক বছর ধরে পাওয়া ‘লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার’-এর টাকার সবটাই ঢেলে দিয়েছেন গণেশপুজোয়। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দিদির কাছে কৃতজ্ঞ ওঁরা।