সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি : ভাঙনরোধে কোনওরকম সাহায্য করে না কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু নদীভাঙন রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার কোনওরকম ব্যবস্থা নেয় না। এমনকী, এর জন্য কোনওরকম অর্থও দেয় না তারা। রবিবার ভাঙন পরিদর্শনে গিয়ে এভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। রবিবার তিস্তা ভবনে সেচ কর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন তিনি। ছিলেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
আরও পড়ুন-খুলছে তিন চা-বাগান
এদিন সেচমন্ত্রী জলপাইগুড়ির বেশ কয়েকটি সেচখাল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া গোপ, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ গোবিন্দ রায়, ময়নাগুড়ি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি (গ্রামীণ) মনোজ রায় সহ সেচ দফতরের আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে সেচমন্ত্রী বলেন, যাঁরা বিজেপির বিধায়ক, তাঁদেরও সমানভাবে রাজ্যের ভাঙন প্রতিরোধে সাহায্যের দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তুলে ধরা উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, তাঁরা কেউই এই কাজে এগিয়ে আসছেন না। ভাঙন পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী প্রথমে ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারি এলাকায় যান। সেখানের তিস্তা ক্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগকারী সাব ক্যানেলগুলি ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুন-আইসিডিএস সর্বোচ্চ পরিদর্শককে স্টার ব্যাচ
এরপরই তিনি যান দোমহনি এলাকার তিস্তা মেন ক্যানেলের সাব ক্যানেল ৬ নং ডিস্ট্রিবিউশন সংযোগস্থলে। ওই এলাকায় সাব ক্যানেল থাকলেও সমস্ত কৃষক সেই ক্যানেলের সুবিধা পাচ্ছেন না। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে কথা দেন। প্রত্যেকটি এলাকায় তিনি কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন। ভাঙন রুখতে বাঁধ মেরামতির কাজ যাতে দ্রুত শুরু হয় সে বিষয়ে একটি রিপোর্টও তৈরি করা হবে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু হবে এবং চাষিদের সেচের জলের সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি ভাঙন রোধ করা যাবে।