প্রতিবেদন : ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানকেই পাখির চোখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্প বাণিজ্য দফতরের দায়িত্ব নিয়েই সে কাজ শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যের নতুন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা। শিল্পায়নের লক্ষ্যে বড় শিল্পের পাশাপাশি ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প বা এমএসএমই সেক্টরকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন-স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নয়া নির্দেশিকা
মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছেন, এমএসএমই ক্ষেত্রে সিঙ্গল উইন্ডো ব্যবস্থা কার্যকর করা হচ্ছে। সে কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাই শুক্রবার আরও একবার বললেন মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা। শিল্পের উন্নয়নে রাজ্য সরকার চালু করেছে শিল্পসাথী প্রকল্প। এদিন বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা বিএনসিসিআই আয়োজিত এক আলোচনা চক্রে উপস্থিত হয়ে এমএসএমই-র ওপরই জোর দিলেন মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা। তিনি বলেন, সরকারে লক্ষ্য হচ্ছে রাজ্যের শিল্পায়ন ও তাঁকে কেন্দ্র করে কর্মসংস্থান গড়ে তোলা। এমএসএমই ক্ষেত্রে এ রাজ্যে বড় সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের এমএসএমই সেক্টরের মোট ১৪ শতাংশ রয়েছে বাংলায়। তাই এই ক্ষেত্রের উন্নয়নে আলাদা ভাবনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে রাজ্যের শিল্পের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন-দশভুজার হাতে অস্ত্র তুলে দেবে গুটিনাগুড়ি গ্রাম
শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জলের অভাব নেই। বিদ্যুতের সরবরাহ আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। লোডশেডিং প্রায় নেই বললেই চলে। শিল্পক্ষেত্রে একসময় আমাদের রাজ্যে বড় বাধা ছিল স্ট্রাইক বা ধর্মঘট। আমাদের সরকারের আমলে এসব রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে। এর সঙ্গে দেউচা-পাঁচামিতে বড় কোল ব্লক পাওয়া গিয়েছে। গড়ে উঠেছে উপযুক্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। শিক্ষা ক্ষেত্রে ভাল সাড়া মেলার পাশাপাশি পর্যটন নিয়ে তিনি অত্যন্ত আশাবাদী। বিশেষ করে টি ট্যুরিজমের সম্ভাবনা কথা একাধিকবার উঠে এল শিল্পমন্ত্রী কথায়। তবে টি ট্যুরিজমে উৎসাহ দিলেও পরিবেশের দিকে খেয়াল রেখেই এ-বিষয়ে এগোবে রাজ্য সরকার বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন-নামবদল মানেই ভোলবদল নয়
ইলেকট্রিক ভেহিকেলসের দৌলতে পরিবহণ শিল্পে অনেক নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাই চার্জিং স্টেশন বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দেন শিল্পমন্ত্রী। মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টির একটি অনুষ্ঠানেও এদিন বক্তব্য পেশ করেন শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শশী পাঁজা। বিএনসিসিআই-এর পক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি দেবাশিস দত্ত, সৈকত বিশ্বাস, মদনমোহন মাইতি ও অন্যান্যরা।