সংবাদদাতা, কাটোয়া : কয়েকদিন বাদেই শুরু হবে নদীর ঘাটে ঘাটে বালি তোলা। এবার বালি চুরি রুখতে তৎপর খোদ মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ব বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে অবৈধ বালি পাচার, অতিরিক্ত বালি মজুত, অবৈধ খাদান পরিচালনা রুখতে কড়া বার্তা দেন তিনি পুলিশ ও প্রশাসনকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। অজয় ও দামোদর লাগোয়া মঙ্গলকোট, রায়না, আউশগ্রাম, জামালপুর ও খণ্ডঘোষ থানা এলাকার ৬৪ জন বালিমাফিয়ার নামে অভিযোগ দায়ের করেছে ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতর। বালির অবৈধ কারবার রুখতে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-ডিজিটাল যুগে গ্রামবাংলায় হারিয়ে যাচ্ছে ভাদু গান
মজুত বালি বা রাতে বেআইনি কারবারের উপর নজরদারি চালাবে ড্রোন। এতে একদিকে যেমন বেআইনি কারবার বন্ধ হবে, অন্যদিকে বেনিয়ম চোখে পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। জেলার সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু জানান, ‘বালি চুরি, নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে বেশি বালি মজুত রুখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে।’ ভূমি ও ভূমিসংস্কার আধিকারিক ও কর্মীরা খোঁজখবর নিয়ে অবৈধ ঘাট চালানো, অনুমোদিত পরিমাণের থেকে বেশি বালি মজুত ও গাড়িতে বোঝাই করা, বর্ষায় বালি তোলা বা যন্ত্র দিয়ে বালি তোলার নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নৌকায় বালি তুলে পাচার ইত্যাদি দুর্নীতি চিহ্নিত করেছেন।
আরও পড়ুন-হাসপাতালে চালু ওয়াটার এটিএম
তাঁদের খবর, জেলায় সব মিলিয়ে ৫ কোটি ঘন ফুটের কাছাকাছি বেআইনি বালি মজুত রয়েছে। অনুমোদনপ্রাপ্ত ইজারাদারের সংখ্যা ১১১। তাঁদের মজুত বালির পরিমাণ ১৬ কোটি ৪৪ লক্ষ ঘন ফুট। বালি-কারবারে স্বচ্ছতা আনতে আগেই চালু হয় কোন ঘাট থেকে কত বালি তোলা হচ্ছে, সেই বালি কোন গাড়িতে কোথায় যাচ্ছে জানার জন্য পোর্টাল, খাদানগুলিতে সিসি টিভি লাগানো ও নজরদারির জন্য প্রতি ব্লকে মনিটরিং কমিটি রয়েছে।