বাসুদেব ভট্টাচার্য, জলপাইগুড়ি: বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো (Baikunthapur Rajbari Durga Puja) জলপাইগুড়ি জেলার ঐতিহ্যবাহী। নরবলির অতীত আছে। এখন চাল-কলা দিয়ে মানব-আকৃতি করে প্রতীকী নরবলি দেওয়া হয়। এ বছর রাজবাড়ির (Baikunthapur Rajbari Durga Puja) পুজো ৫১৩ বছরে। জন্মাষ্টমীর পরদিন রাজবাড়ির দুর্গা মণ্ডপে কাঠামো পুজো দিয়েই শুরু হয়। সেই সঙ্গে নন্দোৎসব ও কাদাখেলাও থাকে। কুলপুরোহিত শিবু ঘোষাল জানান, রাজপরিবারের নিয়মানুযায়ী জন্মাষ্টমীর পরদিন কাঠামোপুজো হয়। বিসর্জনের পর প্রতিমার মূল কাঠামোকে জল থেকে তুলে রাজবাড়ির মণ্ডপে রেখে দেওয়া হয়। তাকেই প্রতিদিন পুজো করা হয়। দধি কাদা খেলার মাটি দিয়েই প্রতিমা তৈরি শুরু হয়। রাজপরিবারের সদস্যরা শিকারে গিয়ে পুজোর সূচনা করেন। প্রতিমা তপ্ত কাঞ্চনবর্ণা। রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা শিষ্য সিংহ জঙ্গলে শিকারে গিয়ে দেবীর পুজোর জন্য নরবলি দিয়ে পুজোর সূচনা করেন ১৫১৫ সালে। এই শিষ্য সিংহের ভাই বিশ্ব সিংহ ছিলেন কোচবিহার রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা।
আরও পড়ুন-বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন দেশ-বিদেশের শিল্পোদ্যেগীরা
রাজবাড়ির দীঘিতে প্রতিমা বিসর্জন হয়। প্রথা মেনে শূন্যে বন্দুক থেকে এক বা দু রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। রাজ পরিবারের প্রণত বসু জানান, একচালার মধ্যেই দেবী বিগ্রহের সঙ্গে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী ও দেবীর বাহনরা থাকে। দেবীর বাম দিকে সহচরী জয়া, ডাইনে বিজয়া থাকে। ডানে শিব, বাদিকে ব্রহ্মা এবং ছোট সিংহাসনে ঘটের সামনে বিষ্ণু বা বৈকুন্ঠনাথ থাকেন। দশমীতে পান্তাভাত, কচু, পুঁটিমাছ ও ইলিশ ভোগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-পুজোর মুখে সাগরে ঘূর্ণাবর্ত