প্রতিবেদন : বড় সিদ্ধান্ত নিল দেশের শীর্ষ আদালত। এবার সুপ্রিম কোর্টের সমস্ত সাংবিধানিক বেঞ্চের শুনানি সরাসরি সম্প্রচার বা লাইভ লাইভ স্ট্রিমিং (Live streaming of Supreme Court proceedings) করা হবে। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকেই লাইভ স্ট্রিমিং শুরু বলে জানা গিয়েছে। বিচার বিভাগে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। শীর্ষ আদালতের সমস্ত বিচারপতিদের নিয়ে পূর্ণ আদালতের সভায় দীর্ঘ আলোচনার পর মঙ্গলবার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন-থাইল্যান্ডে চাকরি দেওয়ার নামে মায়ানমারে পাচার ৩০০ ভারতীয়
দেশের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত পূর্ণ আদালতের ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন। সেখানে সমস্ত বিচারপতি একমত হয়ে বলেন, সাংবিধানিক মামলাগুলি নিয়মিত সম্প্রচারের জন্য লাইভ স্ট্রিমিং শুরু করা উচিত। সরাসরি সম্প্রচার হবে এমন মামলাগুলির মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণির কোটা আইনকে চ্যালেঞ্জ, দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের বহিষ্কারের ধর্মীয় অনুশীলন, অপ্রত্যাবর্তনযোগ্য কারণের ভিত্তিতে বিবাহ ভেঙে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা এবং ১৯৮৪ সালের ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডির শিকারদের জন্য বর্ধিত ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কেন্দ্রের আবেদন। গত সপ্তাহে শীর্ষ আদালতের প্রবীণ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং প্রধান বিচারপতি-সহ অন্য বিচারপতিদের কাছে লেখা চিঠিতে অনুরোধ করেন, সুপ্রিম কোর্ট যেন জনসাধারণের এবং সাংবিধানিক গুরুত্বের বিষয়গুলির কার্যক্রমের লাইভ স্ট্রিমিং শুরু করে। ২০১৮ সালে তথ্যের স্বাধীনতার অধিকার এবং প্রতিটি নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারের একটি অংশ লাইভ স্ট্রিমিং (Live streaming of Supreme Court proceedings) ঘোষণার জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে একজন ছিলেন জয়সিং। শুনানির লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সুপারিশ করার তিন বছর পরে চলতি বছরের অগাস্টে সর্বোচ্চ আদালত তার প্রথম কার্যপ্রক্রিয়া সম্প্রচার করে। এর মধ্যে ছিল একটি আনুষ্ঠানিক বেঞ্চে ললিতের পূর্বসূরি এনভি রামানাকে বিদায় দেওয়ার অনুষ্ঠান। ২০১৮-র সেপ্টেম্বরে, সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে বিচার পাওয়ার অধিকারের অংশ হিসেবে আদালতের কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। পরবর্তীকালে, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের ই-কমিটি, আদালতের কার্যক্রমের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের বিষয়ে মডেল নির্দেশিকা নিয়ে আসে। ওড়িশা, কর্নাটক, গুজরাত, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম লাইভ স্ট্রিমিং শুরু করেছে।