সুমন করাতি, হুগলি: কোন্নগরে (konnagar- Durga Puja) গঙ্গার পশ্চিম পাড়ে সাধুর ঘাটে প্রতিষ্ঠিত কালীমাতা আনন্দ আশ্রমে প্রতি বছর নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ১৮ হাত দূর্গার পুজো হয়ে আসছে। ১৩২৮ বঙ্গাব্দে তান্ত্রিক সূর্যনারায়ণ সরস্বতী মহারাজ এই আশ্রমে ১০৮ বছরের প্রাচীন পুজোর প্রচলন করেন। শ্রীশ্রীচণ্ডীতে এই ১৮ হাত মা লক্ষ্মীর কথা জানা যায়। পুরাণ অনুযায়ী, মহিষাসুরের আক্রমণে স্বর্গ থেকে বিচ্যুত হয়ে দেবগণ হিমালয়ে কাত্যায়নের আশ্রম সমবেত হয়ে নিজ নিজ তেজের দ্বারা সৃষ্টি করেন মহিষাসুরমর্দিনীরূপী দেবী দুর্গাকে। সেই সময় দেবী বিভিন্ন রূপে দেবতাদের সামনে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার মধ্যে একটি হল এই ১৮ হাতের দেবী দূর্গা এবং দশভূজা দুর্গা (konnagar- Durga Puja)। তবে চণ্ডিকাতে আছে কুড়ি হাতের দুর্গার কথা। এখানে দেবীর মুখের রং শ্বেত বর্ণের। ১৮টি হাত নীল বর্ণের। বক্ষস্থল অতিশ্বেত বর্ণের। শরীরের মধ্যভাগ এবং চরণযুগল রক্তবর্ণের। দেবীর ডানদিকে নয় হাতে রয়েছে পদ্ম, বাণ, তরোয়াল, ত্রিশূল, অক্ষমালা। বাঁদিকে প্রথম ছয় হাতে আছে শঙ্খ, খড়্গ, ধনুক, ধুনুচি, ঘণ্টা, কমণ্ডলু ও শেষের তিন হাতে আছে পদ্ম। প্যান্ডেলের আতিশয্য নেই, কিন্তু বনেদিয়ানায় ভরপুর ১৮ হাতের দূর্গাপ্রতিমা।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন খটঙ্গার পুজো, গ্রামের মানুষ ভাসছেন আবেগে