গুয়াহাটি, ১ অক্টোবর : বর্ষাপাড়া নামটার মধ্যে বেশ একটা রোম্যান্টিকতা আছে। মনে হয় যেন যখন-তখন ঝুম ঝুম বৃষ্টি নামে এখানে। বৃষ্টি যে হয় না তাও নয়। ২০২০-তে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ বৃষ্টিতে বাতিল হয়েছিল গুয়াহাটির এই নতুন স্টেডিয়ামে। হাওয়া অফিস অবশ্য বলছে রবিবার গুয়াহাটিতে বৃষ্টির তেমন পূর্বাভাস নেই। তাও অসম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন কোনও ঝুঁকি নেয়নি। তারা বিদেশ থেকে হালকা অত্যাধুনিক পিচ কভার কিনে এনেছে। যাতে বর্ষাপাড়ায় বৃষ্টি নামলে দ্রুত স্টেডিয়ামের পিচ ঢেকে দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন –এক জোড়া তরবারিতে হয় দেবীর ঐতিহ্যবাহী আরাধনা জঙ্গলমহলে
রবিবার একসঙ্গে গান্ধীজয়ন্তী ও দুর্গাপুজোর মহাসপ্তমী। এমন পুণ্য তিথিতে জমিয়ে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-২০ ম্যাচ দেখার তাগিদে গত কয়েকদিনে টিকিটের হাহাকার প্রত্যক্ষ করেছে উত্তর-পূর্বের এই ঐতিহ্যমণ্ডিত শহর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্রিকেটাররা গুয়াহাটি এসেছেন। বিমানবন্দর ও শহরের যে পাঁচতারা হোটেলে ক্রিকেটাররা উঠেছেন, সেখানে স্থানীয় প্রথা মেনে তাঁদের বরণ করা হয়েছিল। সঙ্গে ছিল প্রথামাফিক এখানকার গামছা ও বিহু নাচ। যা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন দুই দলের তারকারা।
আরও পড়ুন –কৃতী ছাত্রের হাতে মাতৃমণ্ডপ উদ্বোধন
এই মুগ্ধতা অবশ্য কেটে যাবে মাঠে বল পড়লেই। রোহিতের জন্য খুব চিন্তার বিষয় জসপ্রীত বুমরার স্ট্রেস ফ্র্যাকচার। তিনি এই সিরিজ থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দলে এসেছেন মহম্মদ সিরাজ। বুমরা বিশ্বকাপেরও বাইরে। তবে বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ব্যাপারটা চূড়ান্ত নয়। আরও দু-তিনদিন লাগবে এটা বুঝতে যে বুমরা বিশ্বকাপে আছেন না নেই। তবে তার আগে এই সিরিজে বুমরার অভাব অবশ্যই অনুভূত হবে। সিরাজ-উমেশ থাকলেও।
আরও পড়ুন –শুক্তো-চচ্চড়িতে জমে ওঠে সিডনির দুর্গাপুজো
তিরুবনন্তপুরমে আট উইকেটে জিতে ভারত ১-০ এগিয়ে আছে। আজ জিতলে আরও একটা সিরিজ রোহিতের। ক’দিন আগে তাঁরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছেন। বিশ্বকাপের আগে এটা অবশ্যই মনোবল-বর্ধক ঘটনা। কিন্তু বাস্তব এটাই যে রোহিতের মাথার উপর ডেথ ওভারের সমস্যা রয়েছে। আগের ম্যাচে তিনি রান পাননি। বিরাটও নয়। তবে রাহুলের রান পাওয়াটা দলের জন্য ভাল। সূর্য যথারীতি রান করেছেন। অর্শদীপ প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশ্বকাপের আগে দলকে নির্ভরতা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন –ছোট্ট ‘উমা’ অমাত্রার হাতে মশা বধ
রবিবারের ম্যাচে টিম ম্যানেজমেন্ট চাহালকে প্রথম এগারোয় ফেরাতে পারে। শুক্রবার অপশনাল প্র্যাকটিস থাকায় রোহিত, বিরাট, রাহুল বা সূর্য কেউ মাঠে আসেননি। তবে ঋষভ-কার্তিক-সিরাজরা এসেছিলেন। শনিবার অবশ্য গোটা দল নৈশালোকে গা ঘামিয়ে নিয়েছে। তেম্বা বাভুমাকে আগেরদিন ডুবিয়েছে ব্যাটিং। টপ থেকে মিডল অর্ডার পর্যন্ত কেউ অর্শদীপকে খেলতে পারেননি। অধিনায়ক নিজে খাতাই খুলতে পারেননি। একমাত্র কেশব মহারাজ কিছুটা করেছেন। তাও দক্ষিণ আফ্রিকা এমন রান তুলতে পারেনি, যা দিয়ে রাহুল-সূর্যদের রোখা যেত। রবিবারের ম্যাচকে আকর্ষণীয় করে তুলতে বাভুমাদের বোর্ডে বড় রান তুলতে হবে। না হলে সিরিজ রোহিতদের দরজায় অপেক্ষা করছে। জিতলে দেশবাসীকে পুজোর উপহার দেওয়া হয়ে যাবে হিটম্যানের।