প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা কিছু প্রকল্পের হাত ধরে বাংলার অসংখ্য পরিবার সরাসরি হাতে আর্থিক সাহায্য পেয়ে যাচ্ছে প্রতি মাসে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, জয় জোহার, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, ইমাম ভাতা, পুরোহিত ভাতার মাধ্যমে রাজ্যের কয়েক লক্ষ পরিবার যেমন উপকৃত হচ্ছে তেমনই স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, সবুজসাথীর মতো প্রকল্পের মাধ্যমেও উপকৃত হচ্ছে।
আরও পড়ুন-ফের ভাষা-সন্ত্রাস দিলীপের মুখে
কিন্তু এটাও সত্যি বাংলার শহর ও গ্রামীণ এলাকার সব পরিবার এই সব প্রকল্পের সুযোগ পাচ্ছে না। আর তা নিয়ে কিছুটা হলেও ক্ষোভ রয়েছে তাঁদের মধ্যে। কেন তাঁরা সেই সব প্রকল্পের সুযোগ পাচ্ছেন না সেটাই এখন খতিয়ে দেখতে চাইছে রাজ্য সরকার। প্রকল্পগুলির নিয়ম ও যোগ্যতা সেক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখতে চাইছে রাজ্য সরকার। যেমন যে বাড়িতে কোনও মহিলা নেই বা থাকলেও তাঁর বয়স ৬০’র বেশি সেই সব বাড়িতে দেখা যাচ্ছে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুযোগ কেউ পাচ্ছেন, না স্বাস্থ্যসাথীর সুযোগ কেউ পাচ্ছেন। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরিবারের আয়ও এই সব প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন-ক্যান্সার রোগীদের সুস্থ করার অঙ্গীকার
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ স্তর থেকে এবার জেলা প্রশাসনগুলির কাছে নির্দেশ চলে গিয়েছে প্রতিটি জেলায় গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি ধরে খোঁজ নিতে হবে যে এমন কোনও পরিবার বাকি পড়ে আছে কি না যাঁরা এই সব আর্থসামাজিক প্রকল্পের কোনও সুযোগই পান না। এঁদেরকেই এবার প্রকল্পপ্রাপকদের তালিকায় নথিভুক্ত করতে হবে। শুধু নথিভুক্তই নয়, তাঁরা এই সব প্রকল্পের সুযোগ পাচ্ছেন কি না সেটাও দেখতে বলা হয়েছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাজ্যে শুরু হতে চলেছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। সেখানে এই পরিবারগুলির নাম যাতে নথিভুক্ত হয় সেই দিকটি দেখতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। রাজনীতির রং না দেখে যাতে সেই নাম নথিভুক্ত হয় সেইদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ বাম বা বিজেপি কিংবা কংগ্রেস সমর্থক কোনও পরিবারের মহিলা যাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান, সেই পরিবারের সদস্যরা যাতে স্বাস্থ্যসাথীর সুযোগ পান সেই দিকটি দেখতে বলা হয়েছে। সেই নির্দেশমতো ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জেলায় সেই সব পরিবারগুলিকে চিহ্নিত করার কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।