প্রতিবেদন : মূলত হিন্দি ভাষায় ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠক্রম চালু করা কিংবা সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় হিন্দি ভাষাতে সুযোগ দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, অন্যান্য ভারতীয় ভাষাতেও নাকি এসব করা যাবে। তৃণমূলের প্রথম আপত্তি, ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি পাঠ্যক্রম হিন্দিতে চালু হয়ে গেল। তার কারণ, ওই বিষয়গুলিতে ব্যবহৃত সমস্ত ইংরেজি শব্দের হিন্দি প্রতিশব্দ ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-৩০০ বছরের ডাকাতেকালী, আজও পূজিতা গোবরজনায়
ফলে যতদিনে অন্যান্য ভাষায় প্রতিশব্দ তৈরি করে পাঠ্যক্রম চালু হবে ততদিনে দেশের বিরাট অংশে হিন্দিতে পাশ করা ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে পড়বে। ফলে অন্যান্য ভাষাভাষী পেশাদাররা ওই সমস্ত অঞ্চলে প্রায় অচল হয়ে পড়বেন। দ্বিতীয় আপত্তি, বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাগত বা পেশাগত সমন্বয় আর থাকবে না। হিন্দিভাষীদের তুলনায় ভাষাগত সংখ্যালঘু যাঁরা, তাঁরা কোণঠাসা হয়ে পড়বেন। ফলে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ ভারতের সনাতন ভাবধারা বিঘ্নিত হবে। তৃতীয় আপত্তি, উচ্চশিক্ষা বা গবেষণা যদি আন্তর্জাতিক স্তরে কেউ করতে চান তা কি ভারতীয় ভাষায় সম্ভব?
আরও পড়ুন-বালুরঘাটেও প্রতিদিন বাজবে জাতীয় সঙ্গীত
চতুর্থ আপত্তি, সংবিধানের ৮ম তফসিলভুক্ত ২২টি ভারতীয় ভাষাকে সমান গুরুত্ব না দিয়ে হঠাৎ হিন্দি নিয়ে শাহেনশাহ-রা লম্ফঝম্প শুরু করলেন কেন? আরএসএসের হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তানের কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে? ভুলে গেলে চলবে না, দেশের অধিকাংশ মানুষই হিন্দিভাষী নন। তাই পঞ্চম আপত্তি, এসবের উদ্দেশ্য ও বিধেয় নিয়ে অহিন্দিভাষী রাজ্যগুলির মতামত জানতে আন্তরাজ্য পরিষদের মতো সাংবিধানিক সংস্হার বৈঠক ডাকা হল না কেন? কেনই বা সংসদে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা না করে তড়িঘড়ি হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযান শুরু হল? ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের দিকে নজর রেখে?