প্রতিবেদন : মাত্র ৪৫ দিন প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে থাকার পর বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রুস। কিন্তু পদত্যাগ করলেও তিনি প্রতি বছর ১ লক্ষ ১৫ হাজার পাউন্ড বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা ভাতা হিসেবে পাবেন। ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বল্প মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী হলেও লিজা যথারীতি এই পাবলিক ডিউটি কস্ট অ্যালাউন্স পাবেন। ১৯৯১ সালে এই ভাতা দেওয়া চালু হয়। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যতদিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকবেন ততদিন তিনি এই ভাতা পাবেন।
আরও পড়ুন-হিমাচলে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হতেই বিজেপিতে প্রকাশ্য বিদ্রোহ
বলা যেতে পারে, লিজা তাঁর বাকি জীবনের পুরোটাই এই ভাতা পাবেন। প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকালীন জন মেজর এই ভাতা চালু করেছিলেন। বর্তমানে ব্রিটেনের ছয়জন প্রধানমন্ত্রী এই ভাতা পেয়ে থাকেন। এজন্য ব্রিটেনের কোষাগার থেকে বছরে খরচ হয় ৭.৩৭ কোটি টাকা। তবে সে দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও জনসাধারণের অনেকেই চাইছেন, লিজাকে যেন এই ভাতা দেওয়া না হয়। কারণ তিনি মাত্র দেড় মাস দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন। লেবার পার্টির নেতা কের স্ট্যারমার স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন না লিজা এই ভাতা পাওয়ার যোগ্য।
আরও পড়ুন-মোদিকে পরামর্শ চিদম্বরমের
তাঁর উচিত সরকারের দেওয়া এই ভাতা না নেওয়া। ব্রিটেনের সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেছেন, গোটা দেশে এই মুহূর্তে বহু মানুষ অনাহারে ভুগছেন। বহু মানুষ নামমাত্র খাবার খেয়ে কোনওরকমে দিন কাটাচ্ছেন। এই অবস্থায় লিজার কখনওই এই বিপুল পরিমাণ সরকারি ভাতা নেওয়া উচিত নয়। সে দেশের বুদ্ধিজীবী মহল বলছেন, এই মুহূর্তে ব্রিটেন চরম আর্থিক সমস্যায় ভুগছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি থেকে শুরু করে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। রাজকোষে বিপুল ঘাটতি। এই অবস্থায় লিজার উচিত নয়, সেই ঘাটতি আরও বাড়িয়ে দেওয়া।