সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়া: প্রায় তিন দশক আগে প্রয়াত হয়েছেন ‘বুড়িমা’। তবুও বাজির জগতে বুড়িমার ব্র্যান্ড আজও অমলিন। আশি ও নব্বই দশকেও যাদের ছেলেবেলা কেটেছে তাদের শৈশব, কৈশোর জুড়ে ছিল বুড়িমার চকলেট বোমা। আর সেই বাজির বাজার মাতানো সাফল্যের পেছনে ছিলেন বুড়িমা স্বয়ং। অন্নপূর্ণা দাস ওরফে বুড়িমা। আজ থেকে ৪৫-৫০ বছর আগে ঘোর পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মধ্যে থেকেও যিনি অদম্য জেদে নিজেই হয়ে উঠেছিলেন ব্র্যান্ড।
আরও পড়ুন-আজ মনোনয়ন জমা সৌরভের সিএবি নির্বাচন
যা বাজির জগতে আজও টিকে রয়েছে। চকলেট বোম তৈরি করে বাজির জগতে পরিচিত হয়েছিলেন বুড়িমা। ক্রমে তা থেকে বাজির জগতে বাঙালির কাছে অপরিহার্য হয়ে উঠেছিলেন বুড়িমা। ১৯৯৫ সালের ৩ জুন প্রয়াত হন বুড়িমা। তাঁর নাতি সুমন দাসের ছেলে সুমিত এখন ব্যবসা চালাচ্ছেন। বেশ কয়েকবছর শব্দ তৈরি ও বিক্রি নিষিদ্ধ। পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরি হচ্ছে। আর এই পরিবেশবান্ধব বাজিতেও বুড়িমার ব্র্যান্ড মানুষের কাছে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। এক্ষেত্রেও বাজি কিনতে আসা বেশিরভাগ ক্রেতাই পরিবেশবান্ধব বুড়িমার বাজিরই বেশি খোঁজ করছেন। বেলুড়ে বুড়িমার আদি বাড়িতে দূরদূরান্ত বহু মানুষ পরিবেশবান্ধব বাজি কিনতে আসছেন।
আরও পড়ুন-বাজি পোড়ানো যাবে রাত ৮ থেকে ১০টা, সময়সীমা বেঁধে দিল পর্ষদ
বুড়িমার নাতি সুমন দাস নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সমস্ত কিছু তদারকি করছেন। রয়েছেন বুড়িমার ফোর্থ জেনারেশনের প্রতিনিধি তথা সুমনের ছেলে সুমিত। যিনি নিজে এমবিএ পাশ করে এই ব্যবসার হাল ধরেছেন। সুমিত বললেন, ‘পরিবেশবান্ধব বাজির প্রতি মানুষের চাহিদা ব্যাপক। আমরা মানুষকে এই বাজি তাই ঠিকঠাকভাবে দিতে পারছি না।’ বুড়িমার নাতি সুমন দাস জানান, ‘এবার বাজি বিক্রি যথেষ্টই ভাল হচ্ছে। রঙমশাল, চরকি, ফুলঝুড়ি, তুবড়ি, তারাবাজির মতো ট্র্যাডিশনাল পরিবেশবান্ধব বাজির প্রতিই মানুষের ঝোঁক বেশি।’ সেইসঙ্গে এবার পরিবেশবান্ধব আরও একটি বাজি ড্রোনও ভালই বিক্রি হচ্ছে। ড্রোন বাজি বাস্তবের ড্রোনের মতোই বাতাসে ভেসে বেড়াবে। তবে ফানুসের মতো বেশি ওপরে উঠবে না। দেখতেও খুব ভাল লাগবে। এই বাজি বাতাসে ছাড়াও খুব একটা কঠিন নয়।