প্রতিবেদন : নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদলগুলি তো বটেই, সংবাদমাধ্যমও বিজেপি বিরোধী কোনও খবর প্রকাশ করলে তার জন্য গেরুয়া সরকারের রোষানলে পড়তে হয়েছে তাদের। কয়েকদিন আগেই সংবাদমাধ্যমের উপর মোদি সরকারের অবৈধ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার এক ঘটনা সামনে এসেছে। ২০২২ সালে পুলিৎজার সম্মান পেয়েছিলেন কাশ্মীরের চিত্রসাংবাদিক সানা ইরশাদ মাট্টু (Sanna Irshad Mattoo)। ওই আন্তর্জাতিক সম্মান গ্রহণের জন্য মাট্টু নিউইয়র্ক যাচ্ছিলেন। সময়মতোই পৌঁছে গিয়েছিলেন দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে। কিন্তু সেখানে অভিবাসন দফতরের কর্তারা মাট্টুকে জানান যে, তাঁর আমেরিকা যাওয়ার অনুমতি নেই। শেষ পর্যন্ত এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করল প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া।
পিসিআইয়ের তরফে কেন্দ্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, বৈধ নথিপত্র থাকার পরেও কেন মাট্টুকে আমেরিকা যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল না? জুলাই মাসেও এই চিত্রসাংবাদিককে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সে বিষয়টি উল্লেখ করে প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন একজন সাংবাদিককে বারবার বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হচ্ছে? মাট্টুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে পিসিআই বলেছে, মোদি সরকার মুখে বলেছে ভারতের অন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে কাশ্মীরের কোনও তফাত নেই। বরং কাশ্মীরিদের দেশের মূল ধারায় নিয়ে আসার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। কিন্তু বাস্তবে মোদি সরকার ঠিক উল্টো পথে হাঁটছে। কেন্দ্রের এধরনের বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে কাশ্মীরের নাগরিকরা ক্রমশই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। গোটা দেশের সঙ্গে তাদের দূরত্ব আরও বাড়বে। এটা কখনওই কাম্য নয়। মাত্র চার মাসের মধ্যে দু’বার মাট্টুর মতো একজন উদীয়মান চিত্রসাংবাদিককে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তিনি একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছিলেন। যে পুরস্কার শুধু তাঁকে নয়, গোটা দেশকেই গর্বিত করত। কিন্তু তাঁকে সেই পুরস্কার নিতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কেন্দ্র যদি তাঁকে আমেরিকা সফরের অনুমতি দিত তাতে দেশেরই মুখ উজ্জ্বল হত। সরকার এটা কেন বুঝল না? কেন্দ্র কেন বারবার মাট্টুকে (Sanna Irshad Mattoo) বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে, সরকারের উচিত সেটা স্পষ্টভাবে সকলকে জানানো।
আরও পড়ুন: সন্ন্যাসজীবন বেছে নিলেন ভূগোলের অধ্যাপিকা