প্রতিবেদন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ফেলে দেব ডিসেম্বরে, সঙ্গে থাকুন। এই প্রস্তাব নিয়ে সোমবার শিলিগুড়িতে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যর (CPM Leader Ashok Bhattacharya) বাড়িতে যান দার্জিলিংয়ের বিজেপির সাংসদ রাজু বিস্ত ও একদা অশোক ভট্টাচার্যর ছায়াসঙ্গী শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সৌজন্য সাক্ষাৎকারের আড়ালে বাংলা দখলের চক্রান্তে শামিল বিজেপি-সিপিএম। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দূত হিসেবে সাংসদ রাজু বিস্ত ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ গদ্দারদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন বাংলা ভাগের চক্রান্তে। কিন্তু বাংলার মানুষ এই চক্রান্ত মেনে নেবেন না। দীপাবলির উৎসব মিটলে গর্জে উঠবে বাংলা। বাংলা ভাগের চক্রান্তের প্রতিবাদে পথে নামবে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: এত ছোট ঘর মুখ্যমন্ত্রীর! বিস্মিত রাজ্যপাল
সোমবার গোটা রাজ্য যখন কালীপুজো ও দীপাবলির উৎসবে মেতে রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির কালীপুজোর তদারকির সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে সিত্রাংয়ের গতিপথ নজরে রাখছেন, প্রশাসনকে সজাগ রাখছেন-নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে আপডেট নিচ্ছেন-কোস্টাল এরিয়ার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরানোর ব্যবস্থা করছেন সেই সময় বিজেপি ও সিপিএম বাংলা দখলের জন্য গোপন বৈঠক করছে শিলিগুড়িতে। এই চক্রান্তের স্ক্রিপ্টের অংশ হিসেবে শিলিগুড়ির হেরো সিপিএমের নেতা অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে গোপন বৈঠক করলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত ও একদা অশোক ভট্টাচার্যর ছায়াসঙ্গী দলবদলু অধুনা শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। জানাজানি হওয়ার পর একে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে চালানোর চেষ্টা করলেও আসলে যে এই বৈঠক বাংলা দখলের গভীর ষড়যন্ত্রের অন্যতম অংশ এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এমনকী এই বৈঠকে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত এও বলেন, ডিসেম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য সব ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে রেখেছে বিজেপি। একথা শোনার পর এর ডিটেইলস জানতে চান অশোক।
সোমবার দীপাবলি ও কালীপুজোর দিনে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত ও শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ অশোক ভট্টাচার্যের (CPM Leader Ashok Bhattacharya) বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেন। যদিও এই বৈঠকের বিষয়ে বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, দীপাবলি উপলক্ষে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করতেই গিয়েছিলেন সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে। যদিও সৌজন্যমূলক সাক্ষাতের কোনও বিষয় থাকলে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়ক কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতৃত্ব বা এমনকী মেয়রের সঙ্গেও দেখা করতে যাননি। এদিন বিজেপি সাংসদ অশোক ভট্টাচার্যকে বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নাকি তৃণমূল সরকারকে ফেলে দেবে। তার জন্য বিজেপি সবরকম ভাবেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এছাড়াও জানা যায় অশোক ভট্টাচার্য গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং ও কোচবিহারের অনন্ত মহারাজের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। এই বিষয়ে রাজু অশোক ভট্টাচার্যকে বলেছেন, তাদের সঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুব শীঘ্রই বৈঠক করে তাঁদের সিদ্ধান্ত জেনে নেবে। বিজেপি যে সিপিএমকে পাশে নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র তৈরি করছে তা এক প্রকার পরিষ্কার। তার সঙ্গে এও পরিষ্কার, বিমল গুরুং সহ বাকিরা বেগড়বাই করলে বিজেপি তাঁদের বিরুদ্ধেও এজেন্সি লেলিয়ে দেবে। তবে গোটা বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় এখন নানা ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু বিজেপি-সিপিএমের গোপন আঁতাঁত এক্সপোজড।