প্রতিবেদন : রবিবার রাত থেকেই মেসেজ, হোয়াটসঅ্যাপে শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে গিয়েছিল। রাতেই সোশ্যাল মিডিয়া উপচে গিয়েছে শুভেচ্ছা বার্তায়। সোমবার দিনভর যা জারি থেকেছে। আর এদিন দুপুর না গড়াতেই কালীঘাটের বাড়ির সামনে ভিড় জমতে শুরু করে। সকলের হাতেই কেক-ফুল-ফুলের বোকে-বিশাল মালা-লাভ ইউ লেখা পোস্টার, প্ল্যাকার্ড— কী নেই। বিকেলেই পটুয়াপাড়ার গোটা রাস্তাটাই দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের দখলে চলে গেল। ৫টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোলেন তিনি, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Birthday- Abhishek Banerjee)। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে থাকা ভিড়টা একলহমায় গর্জন করে উঠল। অভিষেকদা হ্যাপি বার্থ ডে। সকলেই একসঙ্গে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে। তখন চিৎকারে কান পাতা দায়। এবার অভিষেক নিজে এগিয়ে এলেন দলের সহকর্মীদের কাছে। কথা বললেন-হাত মেলালেন-অভিনন্দন গ্রহণ করলেন। এই সময় লোহার গার্ড রেলেও ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হল পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদের। তখন যে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ছে চারদিক। দলীয় সতীর্থদের আনা অগুনতি কেক কাটলেন দফায় দফায়। কেক নিজে খেলেন। আবার খাইয়েও দিলেন। সন্ধ্যা নামতে নামতে ভিড় রাস্তা ছাড়িয়ে চলে গিয়েছে বহুদূর। বিভিন্ন জেলা থেকে যুব সভাপতিরা এসেছেন। উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জায়গা থেকে অজস্র নেতা-সাংগঠনিক পদাধিকারী-কর্মীরা এসেছেন। এরই মধ্যে সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন কেক নিয়ে হাজির। অভিষেক সেই কেক কাটলেন। শান্তনু নিজে হাতে করে কেক খাইয়ে দিলেন। ছবি উঠতে লাগল পরপর।
আরও পড়ুন-জন্মদিনে অভিনন্দন আগামীর অভিষেককে
সন্ধ্যায় এমন ভিড় হল যে জমায়েতের পিছন দিকে থাকা নেতা-কর্মীরা তাঁদের প্রিয় নেতাকে দেখতে পাচ্ছেন না। পরিস্থিতি বুঝে এবার অভিষেক (Birthday- Abhishek Banerjee) সোজা উঠে পড়লেন গাড়ির মাথায়। হাত জোড় করে সকলকে নমস্কার করলেন-হাত নাড়লেন। তখন উপস্থিত জনতার বাঁধ ভাঙল৷ সমুদ্রগর্জনের মতো আওয়াজ উঠল। দীর্ঘক্ষণ এটা চলতে থাকল। চোখের জটিল অস্ত্রোপচারের পর আমতলায় দলীয় সতীর্থদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করেছেন। আর এদিন তাঁর জন্মদিনে তাঁকে ঘিরে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা-জনবিস্ফোরণ সামলালেন তাঁর অননুকরণীয় স্টাইলেই।