সোমবার ঠাকুর নগর গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অর্জুন সিং মেঘবাল। সামনেই ভোট আর তার আগেই সিএএ নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিজেপি। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে রাজনৈতিক চাপনোতর তুঙ্গে। এদিন কৃষ্ণনগর এর সভা তে মঞ্চে উঠেই রাস মেলার শুভেচ্ছা জানান সকলকে। তিনি বলেন, ‘নদিয়ার মানুষ ভাল মানুষ। শান্তিপ্রিয় মানুষ। ধর্মপ্রাণ মানুষ। উদ্বাস্তু মানুষ। আর এই মানুষগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়। আবার বলে বেঙ্গলে ক্যা করবে। ক্যা মানে কী? সিটিজেনশিপ। বুকে হাত দিয়ে বলুন, চাকরি করেন? দোকান আছে? রেশন কার্ড পান? স্বাস্থ্যসাথী পান? লক্ষ্মী ভান্ডার পান? জমি জায়গা আছে? সবই যখন আছে, আপনার অধিকার।’
আরও পড়ুন-‘নির্বাচন চলে গেলে ধর্মে-ধর্মে যুদ্ধ’ কৃষ্ণনগর থেকে ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর
বিজেপির এনআরসি নীতিকে চ্যালেঞ্জ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আসলে মনে পড়ে ক্যা ক্যা ক্যা। ক্যা নিয়ে আপনাদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে। নির্বাচন আসলেই তাদের মাথায় এনআরসি ঢোকে। মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করে। রাজবংশী-পাহাড়ি দিয়ে নিয়ে বাংলা ভাগ করার চেষ্টা করে। তারা করতে চায় না। সবাই এক নয়। নদিয়ায় রানাঘাটের সাংসদ আপনাদের জন্য কিছু করেছে। তাহলে ভোটটা দেন কেন?’
আরও পড়ুন-ভোররাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তরাখণ্ডের বেশ কিছু অঞ্চল
NRC ও CAA নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনি যদি নাগরিক না হতেন, তাহলে এগুলো কী করে হতো? বিজেপি কিছু লোককে এখান ওখান থেকে দেখে নিয়ে আসতে চায়। তারা বাংলার লোক নয়, মনে রাখবেন। তাদের বাংলায় অনুপ্রবেশ করানোর জন্য, তাদের কাছে নাগরিকত্ব দিয়ে আপনার অধিকারকে ছোট করবে। আমি চাই, মতুয়ারা এখানকার নাগরিক। রাজবংশীরা এখানকার নাগরিক। উদ্বাস্তুরা এখানকার নাগরিক। আদিবাসীরা এখানকার নাগরিক। সংখ্যালঘুরা এখানকার নাগরিক। আপনারা যদি নাগরিক না হন, তাহলে আমিও নাগরিক নই।’
আরও পড়ুন-কু-কথায় বিজেপি নেতারা লজ্জা দিচ্ছেন, পাল্টা জবাব
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা ভোট দিয়ে এমএলএ নির্বাচন করেন, এমপি নির্বাচন করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন করেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন করেন। আপনার ভোটেই তো নরেন্দ্র মোদী জিতেছে। প্রধানমন্ত্রী হয়েছে। রানাঘাটের সব ভোট তো নিয়ে গিয়েছে। উনি তাহলে প্রধানমন্ত্রী হলেন কী করে? আপনাদের যদি ভোটাধিকার না থাকে। আপনাদের যদি ভোটাধিকার না থাকে, তাহলে আমাদের জিতিয়েছেন কী করে? এটা পুরো মিথ্যে কথা।’
আরও পড়ুন-শীতের মুখেই বাড়ছে নলেন গুড়ের চাহিদা
খাবার চাল নিয়েও এদিন তিনি ক্ষভপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘গোবিন্দ ভোগ চালে কেন্দ্রের কর কমানো নিয়ে বলেন, ‘বাংলায় গোবিন্দভোগ বেশি হয় বলে তার উপর ।ট্যাক্স কমিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে বাসমতির উপর।’