প্রতিবেদন : কেন্দ্রের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সিএএ সংবিধান-বিরোধী। ওই আইনের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিধানসভা ভবনে মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্মবার্ষিকী পালনের যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিমানবাবু এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এ রাজ্যে তো বটেই গোটা দেশেই সিএএ-এর কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। এ নিয়ে সংবিধান বিরোধী প্রচার চলেছে। যা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন-নোটবন্দি ব্যর্থ
রাজ্য বিধানসভার আসন্ন অধিবেশনে দেশ জুড়ে সিএএ চালুর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে একটি প্রস্তাব আসতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বলেন বিধানসভায় এ নিয়ে আগেও প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে সিএএর বিরোধিতা করে বক্তব্য রেখেছেন। এদিকে উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা যেভাবে আলাদা রাজ্য গঠনের পক্ষে সওয়াল করছেন সে প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বলেন, বাংলা ভাগকে কেউই সমর্থন করে না। অনেকে রাজনৈতিক কারণে এ বিষয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। তবে তারাও আন্তরিকভাবে রাজ্য ভাগ চান না। এতে কারোরই কোনও উপকার হবে না। রাজ্য সরকারও কখনোই তা মেনে নেবে না।
আরও পড়ুন-কর্মসংস্থানেই পাখির চোখ : চন্দ্রিমা
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষক চাকরি প্রার্থীর হাতে পুলিশ কর্মীর কামড়ে দেওয়ার ঘটনার প্রেক্ষাপট ভালভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন। পুলিশ যদি উত্তেজনা প্রশমনে কোনও কাজ করেন তা অপরাধ নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। বিধানসভা ভবনে আজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অধ্যক্ষ বলেন বিষয়টি বিচারাধীন। তবে ওই ঘটনায় কী প্ররোচনা তৈরি হয়েছিল দেখতে হবে। যদি কাউকে হঠাৎ এমনভাবে উত্তেজিত করে দেওয়া হয়, আর তিনি যদি সেই উত্তেজনা প্রশমনে কোনও কাজ করেন তাহলে তা অপরাধ নয়। অন্যদিকে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ওই ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন যা হয়েছে তা ঠিক হয়নি। পুলিশের আচরণবিধি অনুযায়ী এ ধরনের কাজ করা যায় না। আদতে সেদিন কী ঘটেছিল পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে।