প্রতিবেদন : দীর্ঘদিন ধরে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বঞ্চিত রাজ্য। এই বিষয়ে বারবার অভিযোগ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার বকেয়া চেয়ে রাজ্যের তরফে কেন্দ্রের কাছে দরবার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার জেরে গত সাত মাস ধরে ১০০ দিনের প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত দেড় কোটির বেশি শ্রমিক কর্মচারী বঞ্চিত হয়ে রয়েছেন মজুরি থেকে।
আরও পড়ুন-দিলীপ ঘোষের গ্রেফতার চাই
এই রকম জটিল পরিস্থিতিতে কর্মহীন ওই সমস্ত মানুষদের জন্য বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে ১০০ দিনের প্রকল্পে কর্মহীনদের রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে কাজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নবান্ন সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজের কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বকেয়া থাকায় রাজ্য সরকার ওই প্রকল্পের কর্মীদের বিকল্প কাজ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এপর্যন্ত রাজ্যের ৪২টি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মাধ্যমে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের কাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। মজুরি বাবদ রাজ্যের নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ হয়েছে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা। বিকল্প কর্মসংস্থানের এই ব্যবস্থায় এখনও পর্যন্ত ৫ কোটি ১৮ লক্ষ শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে। কর্মহীন মানুষের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ৬৫ হাজার কাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫১,৫৬৮ কাজ দিয়েছে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতর।
আরও পড়ুন-অখিল গিরির মন্তব্যের নিন্দা করল দল
পঞ্চায়েত দফতরের প্রকল্পগুলিতে কাজের সংস্থান হয়েছে সাড়ে ২৩ লক্ষ মানুষের। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যে জব কার্ড হোল্ডার প্রতিটি মানুষের কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্দেশ বাস্তবায়িত করতে রাজ্যের ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের প্রধান, সব জেলাশাসক, দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং জেলার নোডাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে পঞ্চায়েত, সেচ পিএইচই, পূর্ত, মৎস্য, গ্রাম, নগরন্নোয়নের মতো দফতরের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
আরও পড়ুন-দোষীদের নামে এফআইআর পুলিশি তল্লাশি, নন্দীগ্রামে এককাট্টা প্রতিবাদ
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ১০০ দিনের কাজের জন্য যাঁরা নথিভুক্ত, তাঁদেরকে বিভিন্ন রাজ্য সরকারি দফতরে কাজে লাগাতে রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে। তাঁদের প্রশিক্ষণহীন কর্মচারী হিসেবে বিভিন্ন সরকারি দফতরের কাজে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নির্দেশিকা আরও জানাচ্ছে, কোন বিভাগে কতজনকে কাজে লাগানো হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখবেন প্রতিটি বিভাগের নোডাল অফিসার। পাশাপাশি নথিভুক্তরা ঠিক সময়ে কাজ পাচ্ছেন কি না, সেটা নিশ্চিত করার জন্য অফিসারদের কাজে লাগানো হবে বলেও জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।