নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি: দেশে একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকেই দেশের নারীশক্তির প্রতীক বলে বর্ণনা করলেন পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ছাড়পত্র পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক শপথের অপেক্ষায়।
জাগোবাংলার মুখোমুখি হয়ে শনিবার তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, সংবিধানের গণ্ডির মধ্যেই আমি আমার কর্মপদ্ধতিকে পরিচালিত করব। পূর্বসূরি কী করেছেন সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। আমি সাংবিধানিক গণ্ডি মেনেই কাজ করব। রাজ্যপাল হিসেবে তিনি যে তাঁর পূর্বসূরির দায়ভার নিয়ে চলতে রাজি নন পরিষ্কার করে দিয়েছেন এদিন।
আরও পড়ুন-আধার ও স্বাস্থ্যসাথী ছাড়াই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার
রাজ্যপাল-সরকার সংঘাত কী অবশ্যম্ভাবী? আনন্দের উত্তর, একসঙ্গে কাজ করতে গেলে মতপার্থক্য হবেই কিন্তু সেটাকে আমি সংঘাতে পরিবর্তিত হতে দেব না। জানিয়েছেন, কলকাতায় এসেই আগে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেবেন। যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ। অর্থাৎ মহিলাদের যেখানে সম্মান দেওয়া হয় ঈশ্বর সেখানে খুশি হন। মহিলাদের সম্মানের আসনে বসিয়েই বড় হয় রাষ্ট্র। কলকাতায় ব্যাঙ্কার হিসেবে কাজ করার কথাও স্মৃতিচারণ করলেন। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, নিজেই বললেন সে-কথা। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে। ঠিক হয়েছে চলতি মাসের ২১ কিংবা ২৩ নভেম্বর কলকাতায় রাজভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন, শপথ নেবেন।
আরও পড়ুন-বামরাজ্য কোচিতে চলন্ত গাড়িতে মডেলকে গণধর্ষণ
অতীতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত প্রসঙ্গ ওঠায় সিভি আনন্দ বোস বলেন, গণতন্ত্রে মতপার্থক্য থাকবে। মতপার্থক্যকে সংঘাত বলা ঠিক হবে না। এটা মতামতের ভিন্নতা। দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা। এই ভিন্নতাই গণতন্ত্রের শক্তি। সাদর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছি পুরনো কর্মভূমিতে ফিরতে। বাংলাকে নতুন করে জানব। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী হবে? আনন্দের উত্তর, বাংলায় গণতান্ত্রিকভাবে সরকার নির্বাচিত হয়েছে। সেইভাবেই নির্বাচন হবে বাংলায়। গণতান্ত্রিকভাবে জেতা মানুষকে আমি সম্মান করি।