দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের মামলার কিনারা এখনও হয়নি। এরই মধ্যে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশেও একই রকম এক খুনের ঘটনা সামনে এল। জানা গিয়েছে, প্রিন্স যাদব নামে এক যুবক তার প্রাক্তন বান্ধবী আরাধনাকে খুন করেছে। কারণ আরাধনা তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে অন্য একজনকে বিয়ে করেছিল। তবে শুধু খুন নয়, আরাধনাকে হত্যার পর তার দেহ কেটে ৬ টুকরো করেছে প্রিন্স। নৃশংস এই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের ইশাকপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন-রাজস্থানে একই পরিবারের ছ’জনের দেহ উদ্ধার
পুলিশ জানিয়েছে, ১৫ নভেম্বর এই খুনের ঘটনাটি জানা যায়। গ্রামের বাইরে একটি কুয়ো থেকে নিহত তরুণীর দেহাংশ উদ্ধার করে গ্রামবাসীরা। চলতি মাসের ৯ তারিখে ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছিল। শনিবার অভিযুক্ত প্রিন্সকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার বিকেলে পুলিশ মৃত তরুণীর মাথা খুঁজে পেতে অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। সে সময় অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ প্রিন্সকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে জখম হয়েছে সে।
আরও পড়ুন-দলিত মহিলা জল পান করায় গোমূত্র দিয়ে ট্যাঙ্ক শুদ্ধীকরণ! বিজেপি-শাসিত রাজ্য
আজমগড়ের এসপি অনুরাগ আর্য জানিয়েছেন, আরাধনাকে খুন করতে প্রিন্স তার অভিভাবক-সহ বেশ কয়েকজন আত্মীয়ের সাহায্য নিয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, আরাধনা ও অভিযুক্ত প্রিন্সের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি আরাধনা প্রিন্সকে ছেড়ে অন্য একজনকে বিয়ে করে। এতেই প্রবল ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে প্রিন্স। কিছুদিন আগে আরাধনাকে একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়েছিল প্রিন্স। ওই মন্দিরে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল প্রিন্সের পরিবারের লোকজন। আরাধনা সেখানে পৌঁছতেই তার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। আরাধনাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর মন্দিরের পাশে আখখেতে নিয়ে গিয়ে তার দেহ ছয় টুকরো করা হয়। এরপর ওই টুকরোগুলো প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরে গ্রামের বাইরে একটি কুয়ায় ফেলে দেয়। সেখান থেকে কিছুটা দূরে একটি পুকুরে ফেলে আরাধনের মাথা। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি পিস্তল, ধারালো অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করেছে। তবে তার সহযোগীরা সকলেই পলাতক।