প্রতিবেদন : রাজ্য সরকারের লাগাতার চাপের কাছে নতিস্বীকার করে অবশেষে রাজ্যের ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্যের একাংশ মেটাতে বাধ্য হল কেন্দ্র। গ্রামীণ আবাস যোজনা খাতে ৮২০০ কোটি টাকা প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মোদি সরকার। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এ কথা জানান। তিনি বলেন, এই টাকা ২০২২-এর মার্চের ভেতর আসা উচিত ছিল তাই উচ্ছ্বাস করার কিছু নেই। বরং দুঃখের ব্যাপার এত দেরি করে এই টাকা অনুমোদন দেওয়া হল।
আরও পড়ুন-দুষ্কৃতীর গুলি-বোমায় মৃত্যু তৃণমূল নেতার
এ রাজ্যের নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় চেষ্টা করেন তাঁদের মাথার উপর ছাদ দেবার ব্যবস্থা করতে। আশা করি ভবিষ্যতে এইরকম বঞ্চনার শিকার আর হতে হবে না। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ির জন্য ৮২০০ কোটি টাকা প্রস্তাব অনুমোদন এসেছে। যদিও এই প্রকল্পের প্রয়োজন প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা। বাকি টাকা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কারও নামে এই প্রকল্পের নামকরণ করেননি। তিনি রাজ্যের নামে বাংলা আবাস যোজনা করেছিলেন। কেন্দ্র যেমন এই প্রকল্পে ষাট শতাংশ অর্থ দেয় তেমনি রাজ্য সরকারকে চল্লিশ শতাংশ অর্থ দিতে হয়। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্প রূপায়িত করতে নানা রকম প্রশাসনিক কাজের জন্য আরও দশ শতাংশ অর্থ রাজ্য সরকারকেই ব্যয় করতে হয়।
আরও পড়ুন-নবান্নের বৈঠকে গুরুত্ব পেল নতুন ট্যুরিস্ট স্পটের সন্ধান, উত্তরের পর্যটন বিকাশে বিশেষ টাস্ক ফোর্স
পঞ্চায়েতমন্ত্রী এদিন জানান, ১০০ দিনের টাকা কেন্দ্র সরকার এখনও ছাড়েনি। তিনি বলেন এতবার বলা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত ১০০ দিনের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে। রাজ্যের গরিব মানুষকে সংকটে ফেলে দিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ১০০ দিনের কাজ যাঁরা করেছেন তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ দিনের মধ্যে তাঁদের প্রাপ্য টাকা চলে যাওয়া উচিত। কিন্তু তা এখনও হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছিলেন। আমাকেও মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহর সঙ্গে কথা বলার জন্য দিল্লি পাঠিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২১-২২ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজের জন্য ৬ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য।