মুখ্যমন্ত্রী বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন ও চারতলা স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এসএসকেএম এসেছিলেন। রাজ্যের হাসপাতালের বেডের সংখ্যা ৪০ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৭ হাজার করা হয়েছে। ডাক্তারের সংখ্যা ৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার ২৬৭ জন করা হয়েছে। নার্সের সংখ্যা ৩৭ হাজার বেড়ে হয়েছে ৬৬ হাজার ৯৮৩ জন।
আজ, বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লি থেকে ফিরেই এসএসকেএম হাসপাতালে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের সঙ্গে এদিন কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-আফগান নাগরিককে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড তালিবানের
এসএসকেএম হাসপাতালে বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, ‘রাতেও হাসপাতালে থাকুক সিনিয়ার ডাক্তার। জরুরি ক্ষেত্রে আগে চিকিৎসা প্রয়োজন। ট্রমা কেয়ার সেন্টারে স্যালাইন দিতে গিয়ে হাত ফুলিয়ে দিয়েছে। এসএসকেএম নিয়ে আমরা গর্ব করি। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয়বহুল। বহু মানুষ এসএসকেএম হাসপাতালে আসেন। এখানে অনেক নার্স, আশা কর্মী নেওয়া হয়েছে। রেফার করে দিয়ে দায় ঝাড়লে চলবে না। মানুষকে সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবা দিন।’
আরও পড়ুন-নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একের পর এক গাড়িকে ধাক্কা, চিংড়িঘাটায় জখম পথচারীরাও
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, ‘আমাদের কোথাও যদি সিস্টেমে ভুল থাকে তাহলে তা ঠিক করতে হবে। আগে রোগীর চিকিৎসা। পরে প্রসেস। শুনলাম অ্যাডমিশনের প্রসেসেই নাকি সময় লাগে। কিন্তু এটা তো ট্রমা কেয়ারে হওয়া উচিত নয়। এখন যদি একজন প্রেগন্যান্ট মহিলা আসেন, তাঁকে যদি প্রসেসের জন্য ৬ ঘণ্টা ফেলে রাখা হয় তাহলে তাঁর তো জীবনটাই সংকটে পড়ে যাবে।’
আরও পড়ুন-ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড পাকিস্তানের বাজারে, পুড়ে ছাই ৩০০টির বেশি দোকান
এদিন তিনি বলেন, ‘আমি যেহেতু অনেকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি তাই আমার অভিজ্ঞতা আছে। আমারই হাতে অনেকবার স্যালাইন ফোটাতে গিয়ে রক্ত বের করে দিয়েছে। অনেক ডাক্তার আছে, নার্স আছেন যাঁরা ইঞ্জেকশন দেন যা বোঝাই যায় না। আবার আমি একবার ইঞ্জেকশন নিয়েছিলাম। ইঞ্জেকশন নিতে গিয়ে আমার হাতটা পুরো ফুলিয়ে দিয়েছিল। আজ একটা ড্রাগ আসক্ত ছেলে উল্টোপাল্টা গাড়ি চালিয়ে ৭-৮ জনকে আহত করে দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩ জন এখানে ভর্তি আছে। আমি তাঁদের দেখতে গিয়েছিলাম। ওদেরও ভাল যত্ন নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, ১-২ জনকে রোগীকে দেখলাম জাস্ট কতগুলি লিউকোপ্লাসটার লাগিয়ে দিয়েছে। একটা ব্যান্ডেজ পর্যন্ত করা যায়নি। ভর্তি হতে নাকি অনেক টাইম লাগে। কিন্তু, ট্রমা সেন্টা ভর্তি হতে এত টাইম লাগা উচিত নয়। ধরা যাক, একটা গর্ভবতী ভর্তি হলেন। তাঁর যদি ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রসেস হতে এত টাইম লাগে তাহলে তো রোগী মরে যাবে। এগুলি তো জরুরি কেস। ট্রমা সেন্টার ইমারজেন্সির জায়গা। পিজি হচ্ছে সেন্টার অফ এক্সিলেন্স। এর জন্য আমরা গর্ব করি। আমরা প্রায় ১২৩ বে়ডের একটা বিল্ডিং করছি। হস্টেল হচ্ছে পড়ুয়াদের জন্য। আইসিসিইউ হচ্ছে। অনেক কিছু হচ্ছে। স্পোর্টস মেডিসিনের জন্য এই প্রথম আলাদা একটা ডিপার্টমেন্ট হচ্ছে। শিশুদের জন্য নানা পরিষেবা চালু হচ্ছে।’
আরও পড়ুন-ভোটগণনা শুরু গুজরাত ও হিমাচলে
ডাক্তার ও মেডিকেল কলেজ সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ডাক্তার তো হাতেগোনা। আগে ১১টা মেডিকেল কলেজ ছিল। এখন প্রাইভেট মিলিয়ে ৩৩টার মতো হয়েছে।বাংলার ১০ কোটি মানুষ যদি থাকে তার মধ্যে ৮ কোটি ৪৩ লক্ষ মানুষ স্বাস্থ্যসাথীতে নথিভুক্ত হয়েছে। চোখের আলোও খুবই ভাল একটা প্রকল্প। আমাদের ডাক্তারের সংখ্যা এখন ১৫ হাজার ২৬৭। নার্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা ৬৬ হাজার ৯৮৩।টিকাকরণে বাংলা প্রথম। টিকাকরণের হার ৯৯.৬ শতাংশ। শিশু মৃত্যুর হারও কমছে। পেডিয়াট্রিক সেন্টার তো হচ্ছে। মাতৃ মৃত্যুর হারও কমেছে।’