প্রতিবেদন : আজ শনিবার রানাঘাটের মিলন মন্দির ময়দানে জনসভা করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে এই সভায় রেকর্ড ভিড় হতে চলেছে। মিলন মন্দির মাঠে এই জনসভার আয়োজন করা হলেও রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সভায় যে পরিমাণ মানুষ আসবেন তাতে মাঠ উপচে পড়বে। সে কারণে আমরা আগাম প্রস্তুতি হিসেবে এই অঞ্চলের বিভিন্ন মাঠে-রাস্তায় জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানোর বন্দোবস্ত করেছি। যাঁরা মাঠে ঢুকতে পারবেন না তাঁরা অন্তত আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য-সহ গোটা সভাটাই মাঠের বাইরে থেকে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখতে পাবেন। বেলা ২টোয় সভা শুরু হবে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নদিয়া জেলার এই প্রান্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা নিশ্চিতভাবে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
নভেম্বর মাস জুড়ে এই সভার প্রস্তুতি নিয়েছেন সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় তো বটেই, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি, শুভঙ্কর সিংহ (যিশু), তৃণমূল যুব-র সাধারণ সম্পাদক আবির নিয়োগী, মহিলা সভানেত্রী বর্ণালি দে, জেলা পরিষদের দীপক বোস-সহ জেলার বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গত একমাস ধরে কার্যত নাওয়া-খাওয়া ভুলে এই সভার প্রচারে মাঠে-ময়দানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার ১১টি ব্লক, ১০টি টাউনের সভাপতি ও অন্যান্য নেতৃত্ব সবকিছু পিছনে ফেলে সভার প্রস্তুতি ও প্রচারকাজ করেছেন। পথসভা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-তাঁতশিল্পীরা কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্রান্ত নীতির শিকার, প্রতিবাদ
বাড়ি বাড়ি প্রচার করা হয়েছে। দেওয়াল লিখন হয়েছে। গোটা রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা জুড়ে রয়েছে ব্যানার-পোস্টার-গেট। স্বাভাবিকভাবেই এই সভায় রেকর্ড ভিড় হবে এটা ধরে নিয়েই সবরকম প্রস্তুতি রাখছেন জেলা নেতৃত্ব। একইসঙ্গে রয়েছে প্রশাসনিক নজরদারিও। জেলা পুলিশের তরফ থেকে সভার নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উপচে পড়া এই জনসভা থেকে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন সেদিকেই লক্ষ্য রাখবে তামাম রাজনৈতিক মহল। জেলা সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, এই সভায় শুধুমাত্র রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার ৯টি বিধানসভা থেকে কর্মী-সমর্থকেরা আসবেন। এই জেলার বাইরে থেকে কোনও লোক আসবে না। শুধুমাত্র নদিয়া উত্তর থেকে ৮ জন দলীয় বিধায়ক উপস্থিত থাকবেন।