সংবাদদাতা, রামপুরহাট : সিবিআই হেফাজতে মৃত লালন শেখের বাড়িতে গিয়ে আড়াই ঘণ্টা পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি টিম। পাশাপাশি আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ল সিবিআই। শুক্রবার বিচারাধীন বন্দিকে নজরে রাখা যে সিবিআইয়ের কর্তব্য, তা নিয়ে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন।
আরও পড়ুন-ঘুষ নেওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ পেলেই দোষী হবেন সরকারি কর্তারা
এদিনই সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ সিআইডি দল বগটুই গ্রামে লালনের বাড়ি যায়। স্ত্রী রেশমা বিবি ও অন্য সদস্যদের বক্তব্য ভিডিওগ্রাফি করে, লিখেও নেয়। জিজ্ঞাসাবাদ চলে দুটো পর্যন্ত। সিআইডি রেশমার দায়ের করা তিনপাতার অভিযোগের প্রতিটি ধরে খুঁটিনাটি জানতে চায়। সিবিআইয়ের সাত আধিকারিকের নাম কী করে রেশমা জানলেন, তা জানতে চাওয়া হয়। রেশমা অবশ্য প্রথম থেকেই বলেছেন, যারা তার স্বামীর উপর অত্যাচার চালাচ্ছিল হার্ডডিস্ক, কোনও বড় ব্যক্তির নাম বলা কিংবা বিরাট অঙ্কের অর্থ দাবি নিয়ে, তাদের নাম স্বামীই তাঁকে একবার বলেছিল।
আরও পড়ুন-রাকেশ আস্থানার নিয়োগ খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট
মৃত ভাদু শেখ ও তার ভাইয়ের সঙ্গে লালনের সম্পর্কের বৃত্তান্তও জানে সিআইডি। কারণ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর পর এই রেশমা দাবি করেছিলেন, নিহত ভাদুর ভাইয়েরা তাকে ফাঁসিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের নিহত বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদুর ছোট ভাই জাহাঙ্গির শেখকেও গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। লালনের মৃত্যুর দিন সিবিআই ক্যাম্পে সে ছিল। তাই ক্যাম্পে কী ঘটেছিল, তা সে জানতে পরে বলে তাকে আগেই সংশোধনাগারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। তার কথার সঙ্গে ঘটনাক্রম মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। সিআইডি টিম রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের খুঁটিনাটি নেয়।