প্রতিবেদন : নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের শতবর্ষের সমাপ্তি অনুষ্ঠানের সূচনা হল ২৫ ডিসেম্বর। বড়দিনে। এদিন নিউ টাউনে সকাল সাড়ে দশটায় উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল ড. সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ফার্স্ট লেডি লক্ষ্মী আনন্দ বোস, বিজ্ঞানী ড. বিকাশ সিনহা, প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর, লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ মীরা কুমার, বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূত আন্দালিব ইলিয়াস, শিল্পী শুভাপ্রসন্ন, সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল ও প্রাক্তন বিচারপতি শ্যামল সেন, সাংসদ ও সংগঠনের বর্তমান সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য-সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি। প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। তারপরই পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর স্তোত্রপাঠ অনুষ্ঠানে অন্য মাত্রা যোগ করে। অনুষ্ঠানের স্বাগত ভাষণ দেন সত্যম রায়চৌধুরি। অতুলপ্রসাদ সেনকে সামনে রেখে ১৯২২ সালে তৈরি হয় উত্তর ভারতীয় বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন। ঠিক তার পরের বছরই ১৯২৩ সালে নাম বদলে হয় প্রবাসী বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন। কাশীতে আয়োজিত সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯৫৩ সালে নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন আত্মপ্রকাশ করে। তারপর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ১০০ বছর। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বলেন, এই বাংলার বুকে জন্ম নেওয়া সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, দার্শনিকরা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছেন। বাংলা আজ যেটা ভাবে, গোটা বিশ্ব আগামিকাল সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে। বাংলাই পথ দেখায় বিশ্বকে। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত শর্মিলা ঠাকুর। বাঙালির সৃষ্টিশীলতার প্রশংসা উঠে আসে তাঁর গলায়। সংগঠনের দীর্ঘায়ু কামনা করেন বাংলার মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রবীণ সাংসদ এবং সংগঠনের বর্তমান সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ২০২২ সাল জুড়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত ১১ ফেব্রুয়ারি শতবর্ষ উদযাপনের সূচনা হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিধন্য বারাণসীতে। ১৯২২ থেকে ২০২২— একশো বছর ধরে একটা সাহিত্য, একটা ভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিনবত্বের জন্য নিখিল ভারত বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের প্রশংসা করেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠান চলবে আগামী ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত।