ইকো পার্ক থেকে চিড়িয়াখানায় উৎসবের মেজাজ

বড়দিনের আলোয় স্বপ্নপুরী মহানগরী

Must read

প্রতিবেদন: লাল, নীল, নিয়নয়ের মায়াবি আলো। গান, গিটার, আড্ডা আর খাওয়াদাওয়া। নৌকাবিহার, পিকনিক, টার্কি, ওয়াইন, ফ্রুটকেকে হল উৎসবের সূচনা। তবে ক্রিসমাস ইভেও কলকাতায় আমন্ত্রণ পেল না লংজ্যাকেট, কোর্ট, পুলভার। হিমেল হাওয়া ছুটি নেওয়ায় ‘ডিসেম্বরের উষ্ণতা’ নিয়েই হল বড়দিনযাপন। রবিবার সকাল থেকেই রাজ্য জুড়ে ছিল উৎসবের মেজাজ। ইকোপার্ক, নিকোপার্ক-সহ কলকাতার (Kolkata- Christmas) বিনোদন উদ্যানগুলির পাশাপাশি জাদুঘর, চিড়িয়াখানা, সায়েন্সসিটি, আলিপুর জেল মিউজিয়ামে এদিন ছিল উপচে পড়া ভিড়। মিঠে রোদ গায়ে মেখে বড়দিনের সকালে বাবা-মায়ের হাত ধরে কচিকাঁচারা হাজির হয়েছিল চিড়িয়াখানায়। পার্ক স্ট্রিট, বো-ব্যারাক, ঠাকুরপুকুর এলাকায় বড়দিনের সন্ধেয় বন্ধুবান্ধব, পরিবারেরর সঙ্গে ভিড় জমিয়ে ছিলেন বহু মানুষ। উৎসবের দিনে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের তরফে ছিল বিশেষ নিরাপত্তা। পুলিশ কিয়স্কগুলি থেকে চালানো হয় নজরদারি। ঘিঞ্জি এলাকাগুলিতে ছিল পুলিশের টহলদারিও। সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল-সহ বাকি চার্চগুলিতে মানা হয় করোনাবিধি। কলকাতার (Kolkata- Christmas) পাশাপাশি অন্য জেলাগুলিতেও জমে ওঠে বড়দিন। চন্দননগর, কৃষ্ণনগর, ব্যান্ডেল চার্চ এদিন ছিল ভিড়ে ঠাসা। পর্যটন দফতরের তরফেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। অতিরিক্ত বাস চালানো হয়। কমানো হয় বাসের সময়ের ব্যবধানও। দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরেও উৎসের আমেজ। পাহাড়ে পর্যটকদের ঢল। এককথায় সকলেই এখন ফেসেটিভমুডে।

আরও পড়ুন-মরশুমের প্রথম তুষারপাত দার্জিলিং, লাচুংয়ে

বড়দিনে চিড়িয়াখানায় জিরাফের খাঁচার সামনে ভিড়।
ইকো পার্কে উৎসবের মেজাজে মানুষজন।
পার্ক স্ট্রিটে জনস্রোত। রবিবার বড়দিনের সন্ধ্যায়।

Latest article