বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: বড় দিনের পরেও ডুয়ার্সে তেমন ভাবে জাঁকিয়ে পড়েনি শীত। এরই মাঝে মঙ্গলবার সকালে বক্সা পাহাড়ের লেপচাখা, সদর বাজার, তাসিগাঁওতে তুষারপাতের খবরে উষ্ণ হয়ে উঠল আশপাশের এলাকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও উত্তরের একটি বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রের পোর্টালে তুষারপাতের খবর সাতসকালে ফলাও করে প্রচারিত হয়।
আরও পড়ুন-এমপি কাপ ফাইনালে ফলতার সামনে বজবজ
এ খবরে চঞ্চল হয়ে ওঠে পর্যটক থেকে শুরু করে আশপাশের এলাকায় মানুষের মন। সব কাজ ফেলে অনেকেই দার্জিলিংয়ের পরিবেশ উপভোগ করতে ছুটে যান বক্সা পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। বক্সা পাহাড়ের পাদদেশে রাত কাটানো বেশ কিছু পর্যটক ওই প্রাকৃতিক দৃশ্য চাক্ষুষ করতে পড়িমরি করে বক্সা পাহাড়ের পাকদণ্ডী ধরেন। সব মিলিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে রীতিমতো হইচই পড়ে যায় ওই তুষারপাতের খবরকে ঘিরে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তুষারপাতের বিষয়টি সকলের সামনে পরিষ্কার হয়ে যায়।
আরও পড়ুন-দিঘা মোহনায় পরিযায়ী পাখিদের কলতান
তুষারপাত নিয়ে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য অনেকটাই আশাহত করে বক্সা পাহাড়মুখী পর্যটকদের। তাঁরা স্পষ্ট বলেন, পশ্চিমি ও পুবালি বাতাসের সংমিশ্রণে আচমকাই তাপমাত্রা নেমে যাওয়ার দরুন বক্সা পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় শিলাবৃষ্টি নেমে আসে। যা কখনওই তুযারপাত নয়। কারণ তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে না নামলে এবং সঙ্গে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা অতিসক্রিয় না হলে তুষারপাতের ঘটনা ঘটা সম্ভব নয়। আর এই ধরনের আবহাওয়া গত রাতে বক্সা পাহাড়ে ছিল না। তবে সোমবার গভীর রাতে সেখনকার তাপমাত্রা বারো থেকে দশ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যাওয়ার কারণে ২০ মিনিটের মতো শিলাবৃষ্টি হয় সেখানে। সোমবার রাতে শিলাবৃষ্টির সঙ্গে ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতও হয়েছে লেপচাখায়। তুষারপাতের ঘটনার বিষয়ে বক্সা পাহাড়ের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক টেন্ডু ডুকপা বলেন, ‘‘মধ্যরাতে প্রায় কুড়ি মিনিট একটানা শিলাবৃষ্টি হয়। সকালে আমরা ঘুম থেকে উঠে দেখি চারিদিক সাদা বরফের আস্তরণে ঢেকে রয়েছে।”