দিঘা মোহনায় পরিযায়ী পাখিদের কলতান

এতে পরিযায়ী পাখিদের আরও সুবিধা হয়েছে। ফিশারি সংলগ্ন গাছে থাকে তাদের আস্তানা। আর ফিশারির মাছই তাদের খাদ্য।

Must read

সংবাদদাতা, দিঘা : শীতের মরশুম এসে গিয়েছে। দিঘায় বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনা। ভিন দেশের এই বিশেষ ‘অতিথি’রা ভিড় জমাচ্ছে দিঘা রাজ্য ফিশারি সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন জলাশয় এবং বনাঞ্চলে। কারণ, এই অতিথিরা আর পাঁচটা চেনা পর্যটকদের মতো নয়। এরা হল পরিযায়ী পাখি। স্থানীয় সূত্রের খবর, দিঘা মোহনার কাছে প্রায় ৯০ একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে দিঘা রাজ্য ফিশারি। মৎস্য দফতরের ওই এলাকার মধ্যে রয়েছে পুকুর এবং বনাঞ্চল।

আরও পড়ুন-তৃণমূলের প্রচেষ্টায় খুলছে হাওড়া জুটমিল

গত কয়েক বছর ধরে ওই এলাকায় শীত এলেই আসছে পরিযায়ী পাখি। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রতি বছরই বাড়ছে ওই পাখিদের সংখ্যা। বিদেশি সারস জাতীয় পাখিদের পাশাপাশি ওই ফিশারিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বক, মাছরাঙা, পানকৌড়িরা। পক্ষীবিদরা জানাচ্ছেন, পরিযায়ী পাখিগুলি বেশির ভাগই লেসার হুইসলিং ডাক, পিনটেল প্রজাতির। সাধারণভাবে যা সরালি নামে পরিচিত। এগুলি এক প্রকার হাঁস। এছাড়াও অন্য প্রজাতির কয়েকটি পরিযায়ী রয়েছে। আর তাদের দেখতে আসছেন পক্ষীপ্রেমীরাও। মৎস্য দফতর সূত্রের খবর, আগে ওই এলাকায় পাখি শিকারিদের দাপট ছিল। তাই মৎস্য দফতর বর্তমানে পুরো ফিশারিকে জাল দিয়ে ঘিরে দিয়েছে।

আরও পড়ুন-নেই খাবার-জল, যুদ্ধক্ষেত্রে চরম সংকটে রুশ সেনারা

এতে পরিযায়ী পাখিদের আরও সুবিধা হয়েছে। ফিশারি সংলগ্ন গাছে থাকে তাদের আস্তানা। আর ফিশারির মাছই তাদের খাদ্য। ফিশারির এক কর্মী বলেন, “একেবারে কাক ভোরে এই পাখিরা চলে আসে। আবার সন্ধে হলে চলে যায়। আমরা মাছের খাবার দেওয়ার জন্য পুকুরের চারদিকে যাই। তখন পাখিরা উড়ে গিয়ে গাছে বসে। কিন্তু এই সব পাখি পালিয়ে যায় না।” মৎস্য দফতরের এক প্রকল্প আধিকারিক বলেন, “গত কয়েক বছর দেখছি পরিযায়ী পাখিরা এখানে আসছে। ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত তারা এখানে থাকে। তারপর চলে যায়। এবার সবচেয়ে বেশি পাখি এসেছে।”

Latest article