নেই খাবার-জল, যুদ্ধক্ষেত্রে চরম সংকটে রুশ সেনারা

দীর্ঘ ১০ মাস আগে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল রাশিয়া। এই যুদ্ধে ইতিমধ্যেই তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন : একদিকে প্রবল প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিস্থিতি অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসী নীতি এই নিয়ে প্রবল ক্ষুব্ধ রুশ সেনারা। ইতিমধ্যেই গোটা ইউক্রেন জুড়ে নেমেছে প্রবল ঠান্ডা। কার্যত জমে যাওয়ার অবস্থা রুশ সেনার। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা রুশ সেনারা এই মুহূর্তে চরম খাদ্য ও পানীয়ের সংকটে ভুগছেন। সংবাদ সংস্থা দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, রুশ সেনারা পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই তাঁদের এই সংকটের কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সদস্যদের বলি দিতেও প্রস্তুত। তিনি চান যেকোনও উপায়ে ইউক্রেন দখল করতে। রুশ সেনাদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের টেলিফোনে কথোপকথনের এই তথ্য ধরা পড়েছে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা বাহিনীর সার্ভারে।

আরও পড়ুন-নথি দিচ্ছে না কেন্দ্র, ক্ষোভ জাতীয় সংগ্রহশালার

দীর্ঘ ১০ মাস আগে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল রাশিয়া। এই যুদ্ধে ইতিমধ্যেই তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরই মধ্যে ইউক্রেন জুড়ে নেমেছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। এক ভয়ঙ্কর প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন রুশ সেনারা। কিন্তু তাঁদের কোনও সমস্যাকেই ধর্তব্যের মধ্যে আনতে রাজি নন পুতিন ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কর্তারা। তাঁরা চান যুদ্ধ চালিয়ে যেতে। ৮ নভেম্বর এক রুশ সৈনিক তাঁর পরিবারকে এই কথা বলেন। অপর এক সেনা তাঁর মাকে বলেছেন, তাঁদের খাবার মতো কিছুই নেই। এমনকী পানীয় জলও অমিল। বাধ্য হয়ে রাস্তায় জমে থাকা নোংরা জল ছেঁকে পান করতে হচ্ছে। তবে ওই রুশ সেনা কার ফোন থেকে ফোন করেছিলেন সেটা জানা যায়নি। ৬ নভেম্বর এক রুশ সেনার মুখে এমনই কথোপকথন শোনা গিয়েছে। ওই রুশ সেনা কথা বলছিলেন এক মৃত সহযোদ্ধার ছেলের সঙ্গে।

আরও পড়ুন-মনরেগায় ডিজিটাল তথ্য বাধ্যতামূলক করবে কেন্দ্র

তিনি বলেন যে, তাঁরা চরম সমস্যার মধ্যে আছেন। শরীর আর চলছে না। পেটপুরে খেতে না পেয়ে যুদ্ধ করার মতো শক্তি তাঁদের নেই। কিন্তু তাঁদের ফেরার কোনও সুযোগই মিলছে না। ডোনেৎস অঞ্চল থেকে রাশিয়ার এক সেনাকে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে শোনা গিয়েছে। স্ত্রীকে বলেছিলেন যে, তিনি এবং আরও চারজন কোনওরকমে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে এসেছেন। তাঁরা চাইছেন ইউক্রেনীয় সেনার কাছে আত্মসমর্পণ করতে। এভাবে অকারণে প্রাণ হারানোর থেকে আত্মসমর্পণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। ওই সেনা তাঁর স্ত্রীকে আরও বলেন, তাঁদের এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রাখা হয়েছিল যে তাঁদেরকে মেরে ফেলাই ছিল পুতিনের উদ্দেশ্য।

Latest article