সংবাদদাতা, সাগর : সাগরমেলার লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী, প্রশাসনিক আধিকারিক ও ব্যবসায়ীদের জন্য পর্যাপ্ত পানীয় জল ও শৌচালয়ে ব্যবহারের জন্য প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬৫ লক্ষ লিটার জলের প্রয়োজন হয়। সাগরমেলায় মিষ্টি জলের সোর্স কেবলমাত্র ভূগর্ভস্থ। এছাড়া জল রির্জাভারে ধরে রেখে পরিশোধন করে পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর এই জলের ব্যবস্থা করে। এক্ষেত্রে দফতর স্থায়ী ও অস্থায়ী সূত্রের ওপর ভরসা করে। মেলা শুরু ১০ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন-দিলীপকে জবাব তৃণমূলের
এদিন থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিষেবা দিতে হয়। এবার ভিড় আরও বেশি হতে পারে ধরে নিয়ে জলের পরিমাণও বাড়ানো হচ্ছে। অতিরিক্ত তিনটি বড় রিজার্ভার রাখা হচ্ছে। এগুলিতে প্রতিদিন ১০ লক্ষ গ্যালন পানীয় জল ধরে রাখার ব্যবস্থা থাকছে। ভিড়ের জন্য চাহিদা বেড়ে গেলে এই জল ব্যবহার করা হবে। জল সরবরাহের যাবতীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে মেলা চত্বরে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার প্রতীক রুদ্র জানিয়েছেন, আগে মেলায় ৯-১০টি ডিপ টিউবওয়েল ছিল। মেলার সময় পাইপলাইনের মাধ্যমে এগুলি থেকেই জল সরবরাহ করা হত। এখন সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে। এবার মেলা গ্রাউন্ডে জনস্বাস্থ্য দফতর ১১টি গভীর নলকূপ প্রস্তুত রাখছে।
আরও পড়ুন-১২-০, সমবায় ভোটে ফের জয়
পানীয় জল পরিষেবার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সাগরের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণে এলে সবটাই দেখে নিতে পারবেন। শৌচাগারে জল সরবরাহের বিষয়টিও একই গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তৈরি রয়েছে দু’হাজার স্থায়ী শৌচাগার। এছাড়া আরও ন’হাজার অস্থায়ী শৌচাগার তৈরির কাজ চলছে। সব মিলিয়ে এই খাতে প্রতিদিন দু’লক্ষ লিটার জল সরবরাহ করতে হবে। এর জন্য দু’টি পৃথক ডিপ টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। এছাড়াও মেলার বিভিন্ন অংশে প্ল্যাটফর্ম করে ৫০০টি অতিরিক্ত অস্থায়ী শৌচাগার গড়া হচ্ছে। সেখানেও ওই টিউবওয়েল থেকেই জল যাবে।