সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : ফের উপাচার্যের নাক কাটা গেল। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে বেআইনিভাবে কার্যালয়ে বন্দি, শারীরিক, মানসিক ও অপভাষা প্রয়োগ, ভাঙচুর, বিশ্বভারতীর সম্পত্তি বিনষ্ট এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতোর বাড়িতে ঢিল মারা— একাধিক অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো চার ছাত্র ও তিন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন-বন্দে ভারত, বিজেপির নিন্দায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
তার প্রেক্ষিতে বোলপুর আদালত গত বছর ১২ ডিসেম্বর পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট তলব করে। গত ২৬ ডিসেম্বর ও চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি রিপোর্ট জমা দেয়। কিন্তু মামলায় অভিযোগের ‘সারবত্তা’ না পেয়ে আদালত এই মামলার প্রতিপক্ষকে ডাকার প্রয়োজনই বোধ করেনি, উপরন্তু মামলা খারিজ করে দেয়। জানিয়েছেন অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল কর্মী সম্মেলনে নেতাদের পরামর্শ
গত ২৩ নভেম্বর বেশ কয়েকটি দাবিতে উপাচার্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কথা বলতে যান কিছু পড়ুয়া। নিরাপত্তারক্ষীরা ঢুকতে বাধা দিলে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। পড়ুয়াদের হাতে ঘেরাও হন উপাচার্য। ১০ ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত করা হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, উপাচার্য আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনায় না বসায় তাঁরা মঞ্চ বেঁধে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চালান। আদালতের দ্বারস্থ হয় কর্তৃপক্ষ।