প্রতিবেদন : ভাঙন ও ধসের কারণে বিপর্যস্ত জোশীমঠের সেনাশিবিরগুলিও। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডে জানিয়েছেন, জোশীমঠে সেনাবাহিনীর ২০টি বাড়িতে বিপজ্জনক ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই চিন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় থাকা জওয়ানদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে বেশ কিছু ইউনিট সেনাকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে সেনাবাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতিতে এই ধস কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি।
আরও পড়ুন-হরিয়ানায় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে মৃত্যু বাংলার শ্রমিক পরিবারের
কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল, জোশীমঠের এই ধসে নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকার সেনা শিবিরগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ দিন সেনাপ্রধানের ঘোষণায় সেই কথাই স্পষ্ট হল। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের মুখ থেকে এদিন এক উদ্বেগের কথাও শোনা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, দেশের পূর্ব সীমান্তে ধীরগতিতে হলেও সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে চিন। তবে পূর্ব সীমান্তের ঠিক কোন কোন রাজ্যের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় লাল ফৌজের সংখ্যা বাড়ছে সে বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলেননি সেনাপ্রধান। যদিও তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন, লালফৌজের গতিবিধির উপর ভারতীয় সেনা সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। দেশের চিন্তার কোনও কারণ নেই। একই সঙ্গে সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, হিমাচল প্রদেশ, লাদাখ বা উত্তরাখণ্ডের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে।
আরও পড়ুন-দাদা উইলিয়ামকে দরকারে অঙ্গদান করতেই তাঁর জন্ম!
জোশীমঠে সেনাবাহিনীর ভবন ছাড়াও আইটিবিপি ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের বেশ কিছু ঘরবাড়িও যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আইটিবিপির অফিসার ও জওয়ানদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জোশীমঠ সংলগ্ন এলাকায় একাধিক সড়কে ফাটল ধরায় সেনাবাহিনীর যাতায়াতেও যথেষ্ট সমস্যা হচ্ছে। যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় সীমান্ত সংলগ্ন দুর্গম সেনা ঘাঁটিগুলিতে যোগাযোগ রক্ষা করাও ক্রমশ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠেছে।