রাষ্ট্রসংঘ : সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিদের মদত দেওয়াই পাকিস্তানের নীতি, এটা আজ গোটা দুনিয়া জানে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি পাক সরকারের লক্ষ্য নয়। বরং সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে অন্যের ক্ষতি করাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার অধিবেশনে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্য জবাবে এমনটাই জানালেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে।
আরও পড়ুন: টিকাকরণ ভাঁওতা নিয়ে মোদিকে তোপ ডেরেকের
রাষ্ট্রসংঘে তাঁর ভাষণে স্নেহা পরিষ্কার বলেছেন, জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল আছে এবং আগামী দিনেও থাকবে। বরং কাশ্মীরের বেশ কিছুটা অংশ পাকিস্তান বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে। তাদের উচিত দখলীকৃত ওই অংশ অবিলম্বে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া।
শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বলেন, টুইন টাওয়ারে হামলার পর আমেরিকা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালায়। সেই অভিযানে আমেরিকার ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ৮০ হাজার পাকিস্তানির মৃত্যু হয়েছে। ইমরান আমেরিকাকে অকৃতজ্ঞ বলে উল্লেখ করে বলেন, এই দেশ পাকিস্তান বা আফগানিস্তান কোনও দেশের জন্য কিছু করেনি। যথারীতি ইমরান নিজের ভাষণে কাশ্মীরের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, কাশ্মীরে সাধারণ মানুষের কোনও অধিকার নেই। সে দেশের বিজেপি সরকার ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণ করছে। ইমরানের এধরনের মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন স্নেহা দুবে।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একসুর কোয়াডে
পাল্টা স্নেহা তাঁর ভাষণে বলেন, রাষ্ট্রসংঘ যে সমস্ত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তাদের আশ্রয় দিচ্ছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের কাজ গোটা দুনিয়া জানে। ওসামা বিন লাদেনের মতো জঙ্গিকেও আশ্রয় দিয়েছিল পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, লাদেনের মৃত্যুর পর তাকে শহিদের মর্যাদাও দেয় এই দেশ। অন্যের ক্ষতি করতে জঙ্গিদের মদত দেয় পাকিস্তান। সেটাই তাদের দিকে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে। কাশ্মীর প্রসঙ্গে স্নেহা বলেন, আগে পাকিস্তান সেদেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার সুনিশ্চিত করুক। পাকিস্তানে হিন্দু, শিখ, জৈন সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ই চরম নিপীড়িত। কিন্তু ভারতে বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক দেশ। এ দেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার পুরোপুরি সুরক্ষিত রয়েছে। পাক সরকার আগে সেদেশের মানুষের অধিকার সুরক্ষিত করুক। তারপর তারা কাশ্মীরের মানুষের অধিকার নিয়ে ভাববে। কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে কারও কোনও আলোচনা করাই উচিত নয়।
পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মঞ্চে একাধিকবার কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুললেও প্রতিবারই ভারতের কাছ থেকে পাল্টা জবাব পেয়েছে। এবারও রাষ্ট্রসংঘে ফের কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে নিজেদের মুখ পোড়াল সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তান।