প্রতিবেদন : নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ক্রিস হিপকিন্স। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেনের স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন ৪৪ বছর বয়সি লেবার পার্টির এই নেতা। রবিবার সংসদে আনুষ্ঠানিক ভোটাভুটির পরেই নিউজিল্যান্ডের ৪১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন হিপকিন্স। মহামারীর সময়ে দেশে করোনা মোকাবিলার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গেই করোনা পরিস্থিতি সামলেছিলেন তিনি। শনিবার নিউজিল্যান্ডের শাসকদল লেবার পার্টির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-বিজেপির মিথ্যাচার ক্ষুব্ধ মালিওয়াল
বৃহস্পতিবার আচমকা ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা। রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা জানিয়ে ট্যুইট করেন তিনি। জেসিন্ডার ওই ঘোষণা শুধু নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দাদেরই নয়, গোটা বিশ্বকে অবাক করেছিল। পরে জানা যায়, বিয়ে করে সংসারী হওয়ার জন্যই জেসিন্ডা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন তা নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে জল্পনা চলছিল। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি জেসিন্ডা আনুষ্ঠানিকভাবে গভর্নর জেনারেলের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। তারপরই গভর্নর জেনারেল রাজা তৃতীয় চার্লস হিপকিন্সকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ করবেন।
আরও পড়ুন-মস্কো থেকে গোয়াগামী চার্টার্ড বিমানে বোমাতঙ্ক
অবশেষে এদিন সেই জল্পনার অবসান ঘটল। লেবার পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিদায়ী মন্ত্রিসভায় পুলিশ ও শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো ক্রিস হিপকিন্সই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে চলেছেন। দলের সব সাংসদই চাইছেন, দেশের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হোক হিপকিন্সের হাতে। আগামী অক্টোবরে তাঁর নেতৃত্বেই সাধারণ নির্বাচনে লড়বে লেবার পার্টি। যদিও কর্মসংস্থান, মূল্যবৃদ্ধি-সহ একাধিক ইস্যুতে শাসকদল লেবার পার্টির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। তাই দলকে ফের ক্ষমতায় ফেরানো হিপকিন্সের চ্যালেঞ্জ৷