দুলাল সিংহ, বালুরঘাট: বাধা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া, স্বাধীনতার পূর্বে দিনাজপুরে আগত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু-র পদচিহ্নস্থল হিলি রেলস্টেশনে পালিত হয় না নেতাজির জন্মজয়ন্তী। উদ্যোগ নেই বিএসএফ কর্তৃপক্ষেরও। মন ভার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দাদের। উল্লেখ যে ১৯২৮ সালে তৎকালীন দিনাজপুর জেলায় দুর্ভিক্ষ চলছিল। সেই সময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে জনগণের জীবন্ত ভগবান নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তৎকালীন নর্থবেঙ্গল এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে দিনাজপুর জেলার হিলি রেলস্টেশন আসেন।
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামে তৃণমূল পার্টি অফিস ভাঙল বিজেপি
মূলত নেতাজির চাপেই তৎকালীন ইংরেজ গভর্নর জ্যাকশন দিনাজপুরের দুর্ভিক্ষ সংকট মেটাতে ৬ লক্ষ টাকার সরকারি রিলিফ ফান্ড বরাদ্দ করে। শুধু তাই নয় দুর্ভিক্ষের সময় পরিত্রাতা হিসাবে দিনাজপুরে আগত নেতাজির ডাকে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষরা ৪ লক্ষ টাকা নেতাজিকে দান করেন। ভারতের স্বাধীনতার সময় ওই হিলি রেলস্টেশন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এবং যা বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থিত। ভারতীয় ভূখণ্ডের হিলি চেক পোস্ট থেকে বাংলাদেশের হিলি রেলস্টেশনের দূরত্ব মাত্র প্রায় ১০০ মিটার হলেও সীমান্তের কাঁটাতারের কারণে নেতাজির সেই পদচিহ্নের ঐতিহ্য বহন করে আসা হিলি রেলস্টেশনে ভারতীয়রা নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন করতে পারেন না। জন্মজয়ন্তীতেও মহান বীরকে সম্মান জানাতে হিলি রেলস্টেশনে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালনে উদ্যোগ নেয়নি বিএসএফ কর্তৃপক্ষও।