প্রতিবেদন : নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ভারতে অর্থনৈতিক পরিকল্পনার পথিকৃৎ। অথচ তাঁকে এর কৃতিত্ব দেওয়া হয় না। জহরলাল নেহেরুকেই যোজনা কমিশনের পথিকৃৎ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে বলে আক্ষেপ করলেন অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬ তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে তাঁরই পরিকল্পিত মহাজাতি সদনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অর্থনীতির উন্নয়নে নেতাজির দৃষ্টিভঙ্গি শীর্ষক স্মারক বক্তৃতায় তিনি বলেন, নেতাজির অর্থনীতি চিন্তাকে দেশ মনে রাখেনি।
আরও পড়ুন-বাড়িতেই পৌঁছবে সবজির সম্ভার
সুভাষচন্দ্র বসুই দেশের আর্থিক পরিকল্পনার পথিকৃৎ। অথচ তাঁর অন্তর্ধান নিয়ে যত আলোচনা হয়েছে অর্থনীতি সম্পর্কে তাঁর চিন্তার তেমন কোনও আলোচনা হয় না। ভারতের স্বাধীনতার পর অন্তত তিন দশক যে আর্থিক পরিকল্পনা করা হয়েছিল তা মূলত নেতাজির ভাবনার ফসল। হরিপুরা কংগ্রেসে তাঁর বক্তৃতা মূলত তাঁর অর্থনীতির চিন্তার প্রতিফলন। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ, জন্মনিয়ন্ত্রণ, রাষ্ট্রায়ত্ত ভারী শিল্পের কথা তিনি নিজের পরিকল্পনায় বলেছেন। মিশ্র অর্থনীতির কথাই বারবার উঠে এসেছে সুভাষের ভাবনায়। এখন আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে দেশ এগিয়েছে। কিন্তু সমাজ থেকে অসাম্য দূর হয়নি।
আরও পড়ুন-হিলি স্টেশনে উপেক্ষিত নেতাজি নির্লিপ্ত বিএসএফ
নেতাজি তাঁর অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় অসাম্য দূর করার কথা বলেছেন। তাই নেতাজির আর্থিক পরিকল্পনা এখনও প্রাসঙ্গিক। রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশ গঠনে নেতাজির অবদান তাঁর স্বপ্নকে বক্তৃতায় সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। তাঁকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। রাজ্যের নারী শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ইতিহাস যেমন আমাদের, সেরকম ভাবেই তাকে গ্রহণ করা উচিত। ইতিহাস বিকৃতি অপরাধ। বিশিষ্ট জনেরা নেতাজির প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। দুপুর ঠিক ১২টা বেজে ১৫ মিনিটে শঙ্খধ্বনি ও বিউগল বাজিয়ে নেতাজির জন্মমুহূর্ত স্মরণ করা হয়। স্বাগত ভাষণ দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।