প্রতিবেদন : ২৮ বছরের দীর্ঘ চাকরিজীবন। ভাল কাজের জন্য পেয়েছেন ১৮টি পদক। পুলিশের সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেকটর গোপাল দাস-ই ওড়িশায় মন্ত্রীকে গুলি করে খুন করেছেন। কর্মজীবন শুরু কনস্টেবল হিসেবে। পদোন্নতি হয়ে এএসআই হন গোপাল৷ সেই গোপালই যে মন্ত্রীকে গুলি করে বসবেন, তা ভাবতেও পারছেন না ওড়িশা পুলিশের কর্তারা৷
আরও পড়ুন-গণধর্ষিতা দলিত কন্যার পরিবারকে লাগাতার হুমকি
২০০৯ সালে এএসআই পদে উন্নীত হন গোপাল। ভাল কাজের জন্য এ পর্যন্ত ১২ বার গুড সার্ভিস মার্কস পেয়েছিলেন তিনি৷ ৮ বার নগদ পুরস্কারও পেয়েছেন৷ গত দু’বছর গান্ধীচক আউট পোস্টে এএসআই হিসেবে কাজ করছিলেন গোপাল৷ রবিবারের ঘটনার পর ইতিমধ্যে গোপালকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আপাতত তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর চিকিৎসাও চলছে। অসুস্থতার কারণেই পুলিশ তাঁকে ঠিকমতো জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছে না।
আরও পড়ুন-প্রথম ১০ ধনকুবের তালিকা থেকে বাদ গৌতম আদানি
অভিযুক্ত গোপাল দাসের স্ত্রী জয়ন্তী তাঁর স্বামীর মানসিক সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। যদিও গোপালের মানসিক সমস্যার কথা তাঁর সার্ভিস বুকে উল্লেখ নেই৷ গোপালের স্ত্রী জানিয়েছেন, গোপাল ১২-১৩ বছর ধরে ঝাড়সুগুদাতেই চাকরি করছেন৷ কারও সঙ্গে কোনও বিবাদ ছিল না৷ রবিবার মেয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথাও বলেন। গোপালের চিকিৎসার সব প্রেসক্রিপশনই আছে৷ তাঁরা তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন৷ উল্লেখ্য, গত রবিবার ঝাড়সুগুদায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নবকিশোর দাসকে গুলি করেন গোপাল। ওই দিনই সন্ধ্যায় ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই মন্ত্রীর৷