প্রতিবেদন : ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে নওশাদ সিদ্দিকির হাওয়ালা যোগ এবং দিল্লিযোগ। উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না নেপথ্যে গেরুয়া উসকানির সম্ভাবনাও। সেই কারণেই আরও তথ্যের সন্ধানে ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হল ধৃত আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির ২টি মোবাইল ফোন। তাঁর চ্যাটেই সন্ধান মিলেছে হাওয়ালা এবং দিল্লির যোগ সূত্রের।
আরও পড়ুন-তৃতীয় টেস্টে ফিরতে পারেন বুমরা
বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এবং প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে কথাবার্তার তথ্যও হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। কাকে কোথায় কত টাকা দিতে হবে, ধরা পড়েছে সেই সংক্রান্ত কথাবার্তাও। মিলেছে একাধিক অফিসারের সঙ্গে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্যও। তাই নওশাদ এবং তাঁর দলবলের অশান্তি পাকানোর চক্রান্তের নেপথ্যে বিজেপি তথা গেরুয়া শিবিরের কোনও উসকানি আছে কিনা তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার, নির্বাচন কমিশনের কাকে কোথায় সরাতে হবে সেই পরিকল্পনাও করছিলেন নওশাদ! আদালতে একথা জানিয়েছেন খোদ সরকারি আইনজীবীই।
আরও পড়ুন-আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় ভারানের
আইএসএফ তাণ্ডব নিয়ে তদন্তের আরও গভীরে প্রবেশ করছে পুলিশ। এবার নওশাদকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার বারুইপুর আদালতের দ্বারস্থ হল লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। সঙ্গে আইএসফের এক মহিলাকর্মীকেও হেফাজতে চেয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, শুক্রবারই তাঁদের ফের আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।