প্রয়াত কিংবদন্তি পরিচালক কে বিশ্বনাথ (K Viswanath)। বৃহস্পতিবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তারপরেই তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। পাঁচবার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত এই বিশিষ্ট পরিচালক বহুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর প্রয়াণে বিনোদন জগতে শোকের ছায়া।
তাঁর প্রয়াণে টুইটে শোকজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লিখেছেন, “হঠাৎ করেই মৃত্যু হল কে বিশ্বনাথ গুরুর। সিনেদুনিয়ার গুরু ছিলেন তিনি। একজন ক্রিয়েটিভ ও ট্যালেন্টেড পরিচালক হিসাবে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছিলেন। যুগে যুগে তাঁর ছবি দর্শকের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ওম শান্তি।”
শুধু তেলেগু সিনেমা নয়, তামিল ও হিন্দি ছবিতেও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন কে বিশ্বনাথ।তাঁর নির্মিত অন্যতম জনপ্রিয় ছবিগুলি হল শঙ্করভরানাম, সাগর সঙ্গমাম, স্বাতী মুথ্যাম। এছাড়াও তিনি সরগম, কামচোর, শুভ কামনা, জাগ উঠা ইনসান, সুর সঙ্গম, সঙ্গীত, ধনবান-এর মতো একাধিক হিট হিন্দি ছবি তৈরি করেন তিনি।
আরও পড়ুন-কতজন চাকরি পেয়েছে জানে না মোদি সরকার
মাদ্রাসের ভহিনি স্টুডিওজে অডিওগ্রাফার হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন কে বিশ্বনাথ (K Viswanath)। কিছুদিন এই কাজ করার পর তিনি পরিচালনার দিকে সরে আসেন। ১৯৬৫ সালে ‘আত্মা গৌরবাম’ ছবির হাত ধরে প্রথম পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এরপর ১৯৮০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘শঙ্করভরানাম’ ছবির জন্য তিনি গোটা দেশে পরিচিতি পান। ছবিটি গোটা দেশে দারুণ সফলতা অর্জন করে।শঙ্করভরানাম ছবিটি চারটি জাতীয় পুরস্কার পায়। এই ছবিটিকে পরবর্তীতে হিন্দিতে রিমেক করা হয়। নাম দেওয়া হয় ‘সুর সঙ্গম’। সেই ছবিটিও কে বিশ্বনাথ পরিচালনা করেন।শঙ্করভরানাম ছবির সাফল্যের পর একই ঘরানার একাধিক ছবি তৈরি করেন কে বিশ্বনাথ।
১৯৯২ সালে তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কার পান এবং ২০১৭ সালে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত হন। আট বার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান। তবে কেবল পরিচালনা নয়, অভিনয়ও করতেন তিনি। তেলুগু, তামিল মিলিয়ে তিনি প্রায় ২৪টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।