প্রতিবেদন : আাদানি গোষ্ঠী তাদের বিভিন্ন শেয়ারের দর ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর অভিযোগ ওঠার পর শুধু যে ভারতের শেয়ার বাজারেই ধস নেমেছে তা নয়। গৌতম আদানির কর্মকাণ্ডের জেরে বড়সড় পতন হয়েছে আমেরিকার শেয়ার বাজারেও। বৃহস্পতিবার সেদেশে বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দরে পতন ঘটতে শুরু করে। ঘটনার জেরে একসময় ডাও জোন্সের সূচক তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থাকে।
আরও পড়ুন-‘দিদির বাংলা’র জন্য কাজ করে ধন্য হতে চান গরিবের মসিহা বলিস্টার সোনু
শুক্রবারও বাজারে আদানি গ্রুপের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার দরে ১০ শতাংশ পতন হয়। দামের পতন ঠেকাতে সাময়িক বেচাকেনা বন্ধ রাখা হয়েছিল। যদিও পরে আবার বেচাকেনা চালু হলেও পতন ছিল অব্যাহত। এদিন সামগ্রিকভাবে আদানিদের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার দর ৫ শতাংশের বেশি পড়েছে। এসবের কারণেই মার্কিন শেয়ার বাজার ডাও জোন্স সূচকেও পতন ঘটে। মার্কিন রিসার্চ সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই আদানিদের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দর পড়তে শুরু করেছে। নরেন্দ্র মোদিঘনিষ্ঠ এই শিল্পপতি গত কয়েকদিনে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এমনকী, ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন শেয়ার ছাড়ার প্রক্রিয়াও স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছেন।
আরও পড়ুন-রহস্য-রোমাঞ্চে রক্তকরী
গত কয়েকদিনে আদানি গোষ্ঠীর প্রায় ৮ লক্ষ ২২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। যে কারণে বিশ্বের ধনীতমদের প্রথম ২০-র তালিকা থেকেও বাদ পড়েছেন গৌতম আদানি। ৩১ জানুয়ারি বিশ্বের ধনীতমদের প্রথম ১০-এর তালিকা থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন মোদিঘনিষ্ঠ এই শিল্পপতি। তার তিনদিনের মধ্যেই প্রথম ২০-র তালিকা থেকেও ছিটকে গেলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে আদানি গোষ্ঠীর এটাই সবচেয়ে বড় ক্ষতি। বিপুল ক্ষতির ফলে ধুঁকছে তাদের বিভিন্ন শেয়ারহোল্ডার সংস্থাগুলি।