বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছে আদানি গোষ্ঠী

কিন্তু ক্রেডিট সাইটের সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, আদানি গোষ্ঠীর এই বাড়বাড়ন্ত সবটাই ছিল ঋণের টাকায়, যা যে কোনও সংস্থার পক্ষে যথেষ্ট বিপজ্জনক

Must read

প্রতিবেদন : গত সপ্তাহে আমেরিকার শেয়ার সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ এক রিপোর্টে জানিয়েছিল, এক দশক ধরেই শেয়ার দরে লাগাতার কারচুপি করে চলেছে আদানি গোষ্ঠী। ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম উল্কার গতিতে পড়তে থাকে। আদানি গোষ্ঠী সম্পর্কে এই সতর্কতা প্রায় ছয় মাস আগেই দিয়েছিল ক্রেডিট সাইট নামে আরও এক রিসার্চ সংস্থা।

আরও পড়ুন-আদানি গোষ্ঠীর কারচুপিতে মার্কিন বাজারে নামল ধস

ক্রেডিট সাইটের সমীক্ষায় বলা হয়েছিল আদানি গোষ্ঠীর সাফল্যের পিছনে রয়েছে পাহাড়-প্রমাণ ঋণের বোঝা। এক বছর আগে আদানি গোষ্ঠীর ঋণের পরিমাণ ছিল ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকা। এক বছরে সেই ঋণের বোঝা কমা তো দূরের কথা, বরং তা ৪২ শতাংশ বেড়ে ২.২২ লক্ষ টাকা হয়েছে। যে কোনও সংস্থার পক্ষে যা মারাত্মক। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাঁর ঘনিষ্ঠ আদানি শিল্পগোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে উল্কার গতিতে। দেশের শীর্ষতম ধনীর তালিকায় উঠে আসেন গৌতম আদানি।

আরও পড়ুন-‘দিদির বাংলা’র জন্য কাজ করে ধন্য হতে চান গরিবের মসিহা বলিস্টার সোনু

কিন্তু ক্রেডিট সাইটের সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, আদানি গোষ্ঠীর এই বাড়বাড়ন্ত সবটাই ছিল ঋণের টাকায়, যা যে কোনও সংস্থার পক্ষে যথেষ্ট বিপজ্জনক। আদানি গোষ্ঠীর ঋণ সম্পর্কে অপর এক সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, এশিয়ার সবচেয়ে বেশি ঋণগ্রস্ত সংস্থাগুলির তালিকায় আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড ছিল দ্বিতীয়। প্রশ্ন হল, আদানি গোষ্ঠী কেন এই বিপুল পরিমাণ ঋণ করেছিল? বিভিন্ন বাজার বিশেষজ্ঞ সংস্থার ব্যাখ্যা, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর আদানি গোষ্ঠী সব ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেই নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে। নতুন নতুন ক্ষেত্রের ব্যবসায় প্রবেশ করে। সে কারণেই তারা বিপুল পরিমাণ নিয়েছিল। বিভিন্ন সংস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তারা পুরোপুরি ঋণের উপরেই নির্ভর করে।

আরও পড়ুন-রহস্য-রোমাঞ্চে রক্তকরী

বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে, আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদির বিশেষ ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। সে কারণেই বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে অকাতরে বিপুল ঋণ পেতে কোনও সমস্যাই হয়নি আদানি গোষ্ঠীর। যা দেশের অর্থনীতিকে এখন কার্যত বড় মাপের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, এর আগেও অতিরিক্ত ঋণের ভারে বহু সংস্থাই তাদের ব্যবসার ঝাঁপ গুটিয়েছে। ঋণের টাকা মেটাতে না পেরে নীরব মোদি, মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়ার মতো বড় শিল্পপতিকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। এখন দেখার, বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে গৌতম আদানি কী করেন?

Latest article